দৌলতদিয়া-পাটুরিয়াঘাটে যানবাহন ও মানুষের অতিরিক্ত চাপ

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, মানিকগঞ্জ ও রাজবাড়ী

দেশজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মৃত্যুর পরিমাণ প্রতিদিনই বাড়ছে। পরিস্থিতিতে আজ ভোর ৬টা থেকে ২১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। গতকাল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন সমন্বয় অধিশাখার এক প্রজ্ঞাপনে কথা জানানো হয়। কঠোর বিধিনিষেধের ঘোষণায় ঢাকা ছাড়তে শুরু করেন কর্মজীবী সাধারণ মানুষ। এতে দেশের গুরুত্বপূর্ণ নৌরুট দৌলতদিয়া-পাটুরিয়াঘাটে যানবাহন মানুষের চাপ বেড়ে যায়। গতকাল ঘরমুখো মানুষ পণ্যবাহী ট্রাকের তীব্র ভিড় ছিল দুই ঘাটে। এতে লঙ্ঘিত হয়েছে স্বাস্থ্যবিধি, বেড়েছে সংক্রমণের ঝুঁকি।

গতকাল রাজধানী ঢাকা ছাড়তে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ। এতে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাটে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলাগামী মানুষের চাপ বেড়ে যায়।

এদিন সকাল থেকে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাসের অতিরিক্ত চাপে ফেরি পারাপারে বিপাকে পড়ে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ব্যক্তিগত গাড়ি পার করায় প্রায় ৩০০ পণ্যবোঝাই ট্রাক পারের অপেক্ষায় আটকা পড়ে।

ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাসের অতিরিক্ত চাপ রয়েছে। পাশাপাশি অতিরিক্ত যাত্রীও পারাপার হচ্ছে। ছোট-বড় ১৪টি ফেরি দিয়ে এসব ছোট গাড়ি পারাপার করা হচ্ছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস পার করায় পণ্যবোঝাই ট্রাক পারাপার ব্যাহত হচ্ছে। ঘাটে দুই শতাধিক পণ্যবোঝাই ট্রাক পারের অপেক্ষায় রয়েছে।

এদিকে গতকাল বিকালে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে গিয়ে দেখা যায়, ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের বাংলাদেশ হ্যাচারি পর্যন্ত চার কিলোমিটার এলাকায় ৪০০ ঘাট থেকে ১২ কিলোমিটার পেছনে গোয়ালন্দ মোড় এলাকায় আরো অন্তত ২০০ পণ্যবাহী ট্রাক পারের অপেক্ষায় আটকে ছিল। ১০-১২ ঘণ্টা বসে থেকেও ফেরির নাগাল পাননি তারা। সময়মতো পণ্য পৌঁছে দিতে না পারায় প্রচণ্ড গরমে ভোগান্তিতে পড়েছেন ট্রাকচালকরা।

এদিকে সরকারি নিষেধাজ্ঞা মেনে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় ঢাকা থেকে সব যাত্রীই নদী পার হচ্ছেন ফেরিতে। বাস চলাচল বন্ধ থাকায় তারা সিএনজি, মোটরসাইকেল, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাসহ বিভিন্ন উপায়ে ঘাটে পৌঁছাচ্ছেন। দ্বিগুণ ভাড়া মিটিয়ে করোনার ঝুঁকি নিয়েই ছুটছেন গন্তব্যে।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক ফিরোজ শেখ জানান, লকডাউনের খবরে সবাই যার যার গন্তব্যে যাওয়ার জন্য ছুটছে। ফলে দৌলতদিয়া ঘাটে পণ্যবাহী ট্রাকের সারি তৈরি হয়েছে। আটকে থাকা ফেরিগুলোকে ১৫টি ফেরি দিয়ে পারাপারের চেষ্টা করা হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন