খুলনার পিসিআর ল্যাব

সক্ষমতার দ্বিগুণ নমুনা ফল পেতে দেরি

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, খুলনা

খুলনা পিসিআর মেশিনে একদিনে করোনা পরীক্ষার সর্বোচ্চ ক্ষমতা ২৮২টি। কিন্তু সেখানে প্রতিদিন সংগ্রহ করা হচ্ছে ৬০০-৬৫০টি নমুনা। বিদেশে যেতে করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক হওয়ায় অভিবাসন প্রত্যাশীদের বড় একটি অংশও প্রতিদিন নমুনা দিচ্ছেন। ফলে ফল পেতে সময় লাগছে।

খুলনা মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান সহকারী অধ্যাপক শাহনাজ পারভীন বলেন, ২০২০ সালের এপ্রিল মেডিকেল কলেজটির তৃতীয় তলায় মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ল্যাবে পিসিআর মেশিনের কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর এক বছরে মেশিনটি একদিনের জন্যও বন্ধ রাখা সম্ভব হয়নি। তিনি আরো বলেন, মাঝে কয়েক মাস নমুনা কম ছিল। কিন্তু এখন প্রতিদিনই সক্ষমতার প্রায় দ্বিগুণ নমুনা জমা পড়ছে। তাই রিপোর্ট দিতে তিন-চারদিন সময় লাগছে।

সম্প্রতি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটের প্রধান ফটকে গিয়ে দেখা গেছে মানুষের ভিড়। কেউ নমুনা দিতে এসেছেন, কেউ রিপোর্ট নিতে। পরীক্ষার ফল নিতে আসা নগরীর আমজাদ হোসেন নামে একজন জানান, জ্বর গলাব্যথা নিয়ে এপ্রিল নমুনা দিয়েছিলেন তিনি। তাকে তিনদিন পর আসতে বলা হয়। কিন্তু সাতদিনেও পরীক্ষার রিপোর্ট পাননি।

খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ এবং করোনা প্রতিরোধ চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা কমিটির সমন্বয়কারী ডা. মেহেদী নেওয়াজ বলেন, সঠিকভাবে রোগ নির্ণয়ের জন্য খুলনায় আরেকটি পিসিআর মেশিন বসানো প্রয়োজন। গত এক বছরে অসংখ্যবার দাবি জানানো হয়েছে কিন্তু কাজ হয়নি।

এদিকে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে কর্তব্যরত অবস্থায় ডা. সুমিত পালের ওপর হামলা হত্যাচেষ্টাকারীদের গ্রেফতার করা না হলে জেলার সব চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) খুলনা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন