পণ্য রফতানির কার্যাদেশ পেয়েছে রংপুর ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রডাক্টস (আরডি ফুড) লিমিটেড। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটি আফ্রিকান দেশগুলোসহ অন্যান্য দেশে রফতানি বাড়ানোরও চেষ্টা করছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে কোম্পানিটি।
গত ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে দুবাইয়ের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে আয়োজিত ‘গালফুড ফেয়ার-২০২১’-এ অংশগ্রহণ করে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আরডি ফুড। যেখানে আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের পক্ষ থেকে ভালো সাড়া পায় তারা। এ মেলার মাধ্যমে বুরকিনা ফাসো, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ঘানা, মালি, গণপ্রজাতন্ত্রী মলদোভা, ইয়েমেনসহ অন্যান্য দেশ থেকে রফতানির কার্যাদেশ পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। সবমিলিয়ে প্রায় ১১ লাখ ডলারের রফতানি কার্যাদেশ পেয়েছে আরডি ফুড।
এদিকে প্রতিষ্ঠানটির রফতানির কার্যাদেশ বৃদ্ধির ফলে বিক্রি বাড়বে ৯ কোটি ১৩ লাখ টাকা। আর গ্রস মুনাফা বাড়বে ১ কোটি ৬৯ লাখ ৮১ হাজার ৮০০ টাকা।
সর্বশেষ অনিরীক্ষিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) আরডি ফুডের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩২ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২৫ পয়সা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) ইপিএস হয়েছে ১৫ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৮ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৮২ পয়সা।
৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরের জন্য ২ শতাংশ নগদ ও ২ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ পেয়েছেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩১ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ৪৪ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)। ৩০ জুন কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ১৪ টাকা ৫০ পয়সা।
২০১৯ হিসাব বছরে ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া ২০১৮ ও ২০১৭ হিসাব বছরে যথাক্রমে ৫ শতাংশ ও ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা।
২০১১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া আরডি ফুডের অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৭৩ কোটি ৭৬ লাখ ১০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ১৮ কোটি টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ৭ কোটি ৩৭ লাখ ৬১ হাজার ১২৪। এর মধ্যে ৩১ দশমিক ১৪ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালকের হাতে রয়েছে। এছাড়া ১৯ দশমিক ১৬ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক ও বাকি ৪৯ দশমিক ৭০ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।
