কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে ভ্যাকসিন মিশ্রণের কথা ভাবছে চীন

বণিক বার্তা ডেস্ক

অন্যান্য দেশের উদ্ভাবিত কভিড-১৯ ভ্যাকসিনের তুলনায় চীনের নিজস্ব প্রযুক্তিতে উদ্ভাবিত ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা কম বলে স্বীকার করেছেন চীনের কর্মকর্তারা। ফলে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে সরকারিভাবে মিশ্রণের চিন্তা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তারা। খবর এপি দ্য গার্ডিয়ান।

শনিবার চীনের দক্ষিণ-পশ্চিম শহর চেংদুতে অনুষ্ঠিত এক কনফারেন্সে এমনটা জানান চায়না সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের (সিডিসি) পরিচালক গাও ফু। তিনি বলেন, চীনের ভ্যাকসিনগুলোর কার্যকারিতা খুব অল্প মাত্রার। গাও ফু বলেন, বর্তমানে ভিন্ন প্রযুক্তির ভিন্ন ভ্যাকসিন ব্যবহারের বিষয়টি আলোচনার টেবিলে আছে। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আমরা এসব বিবেচনা করছি।

গাও ফু বলেন, এমআরএনএ ভ্যাকসিনের সুবিধাজনক বিষয়টি সবার বিবেচনা করা উচিত। ব্যাপারে আমাদের আরো সতর্কভাবে নজর দেয়া উচিত। আমাদের এরই মধ্যে কয়েকটি ভ্যাকসিন আছে বলেই বিষয়ে চোখ বন্ধ করে থাকা উচিত হবে না।

গাও ফুর মন্তব্যের পর ভ্যাকসিন-বিষয়ক পরিকল্পনায় কী পরিবর্তন আসতে পারে, ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেননি চীনা কর্মকর্তারা। তবে সিডিসির এক কর্মকর্তা জানান, চীন বর্তমানে এমআরএনএ ভিত্তিক ভ্যাকসিন উন্নয়নে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে।

সিডিসি কর্মকর্তা ওয়াং হুয়াকিং জানান, এমআরএনএ ভিত্তিক ভ্যাকসিন উন্নয়নে গবেষকরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে এটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পর্যায়ে রয়েছে। তবে এটি প্রয়োগ করার উপযোগী হয়ে ওঠার ব্যাপারে কোনো নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করা হয়নি।

চীনের গবেষকরা বলছেন, ভ্যাকসিনের মিশ্রণ কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। যুক্তরাজ্যের গবেষকরা এরই মধ্যে ফাইজার-বায়োএনটেক অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন মিশ্রণ নিয়ে কাজ করছেন।

ব্রাজিলের গবেষকরা চীনের তৈরি সিনোভ্যাক ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ৫০ দশমিক শতাংশ পর্যন্ত পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

অন্যদিকে ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন ৯৭ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকর বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।

এর আগে পশ্চিমা দেশগুলোর উদ্ভাবিত ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন চীনের স্বাস্থ্যবিষয়ক কর্মকর্তারা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন