১০ লাখ টাকা পর্যন্ত আমানতকারীদের ফি কমল

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনাভাইরাস সৃষ্ট ক্ষতি থেকে ঋণগ্রহীতাদের সুরক্ষা দিতে বিভিন্ন ধরনের নীতি ছাড় দিয়ে আসছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এক্ষেত্রে প্রায় উপেক্ষিত ছিলেন আমানতকারীরা। তবে এবার ক্ষুদ্র আমানতকারীদের জন্য সামান্য হলেও সুবিধা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি ২০২১ সালে ব্যাংকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত আমানত আছে, এমন গ্রাহকদের হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ মাশুল বা ফি অর্ধেক রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

একটি হিসাব রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বছরে দুবার ফি বা মাশুল আদায় করে ব্যাংক। এক্ষেত্রে প্রতি ছয় মাসের জন্য সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা ফি আদায়ের সুযোগ রয়েছে। ২০১৯ সালের অক্টোবরে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে সঞ্চয়ী চলতি হিসাবের ফি আদায়ের স্তর পরিমাণ নির্ধারণ করে দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। নভেল করোনাভাইরাস সৃষ্ট চলমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে ব্যাংকগুলোকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয় হিসাবের বিপরীতে বছরে একবার ফি আদায়ের নতুন নির্দেশনা দেয়া হলো।

গতকাল জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণজনিত কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষুদ্র আমানতকারীদের আর্থিক প্রণোদনা প্রদান আমানত বৃদ্ধির জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে। এজন্য ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত গড় আমানত স্থিতিবিশিষ্ট সঞ্চয়ী হিসাবের বিপরীতে বছরে দুবারের পরিবর্তে একবার হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ মাশুল আদায়ের জন্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা প্রদান করা যাচ্ছে।

এর আগে ব্যাংক খাতে আমানত বৃদ্ধি এবং ক্ষুদ্র আমানতকারীদের ব্যাংকমুখী করার লক্ষ্যে গড় আমানত স্থিতির ওপর ভিত্তি করে সঞ্চয়ী হিসাবের বিপরীতে রক্ষণাবেক্ষণ মাশুল পুনর্নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছিল। ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর জারি করা প্রজ্ঞাপনে ব্যাংকের আমানত হিসাবের ফি নির্ধারণ করে দেয়া হয়। ওই প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, সঞ্চয়ী হিসাবে ১০ হাজার টাকা গড় আমানত স্থিতি থাকলে কোনো ফি আদায় করা যাবে না। ১০ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত গড় আমানত থাকলে ফি হবে সর্বোচ্চ ১০০ টাকা। ২৫ হাজার থেকে লাখ টাকা পর্যন্ত গড় আমানত স্থিতির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ফি হবে ২০০ টাকা। লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত গড় আমানত স্থিতি থাকলে সে হিসাবের বিপরীতে সর্বোচ্চ ২৫০ টাকা ফি আদায় করার বিধিনিষেধ দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন