করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে প্রতিদিনই বাড়ছে শনাক্ত ও মৃত্যুর হার। সারা দেশের মতো খুলনায়ও সংক্রমণ বাড়ছে উদ্বেগজনক হারে। এমন পরিস্থিতিতে অকেজো হয়ে আছে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (খুমেক) ১২টি হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা মেশিন। এছাড়া মহামারী শুরুর এক বছরেও হাসপাতালটিতে স্থাপন করা হয়নি অক্সিজেন প্লান্ট। এতে করোনা আক্রান্তরা বিশেষ করে গুরুতর অসুস্থরা অক্সিজেন সংকটে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। অনেকেই যথাসময়ে সেবা না পেয়ে মৃত্যুমুখে পতিত হচ্ছেন। কাঙ্ক্ষিত সরকারি সেবা না পেয়ে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে সেবা নিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে স্বল্প আয়ের মানুষ।
করোনা প্রতিরোধ ও চিকিৎসা কমিটির খুলনার সমন্বয়কারী ডা. মেহেদী নেওয়াজ বলেন, খুমেকের করোনা ইউনিটে অক্সিজেন সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে।
তিনি বলেন, শুধু কয়েকটি দপ্তরের সমন্বয়হীনতা ও অবহেলার কারণে এক বছরেরও বেশি সময় অতিবাহিত হলেও অক্সিজেন প্লান্টটি স্থাপন করা সম্ভব হয়নি।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. জিল্লুর রহমান জানান, হাসপাতালে অক্সিজেন প্লান্ট না থাকায় বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২১টি হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে দেয়া হয়। এর বাইরে সরকারিভাবে আরো চারটি ন্যাজাল ক্যানুলা হাসপাতালকে দেয়া হয়। ছোটখাটো ত্রুটিতে এসব মেশিনের মধ্যে ১২টিই অকেজো হয়ে পড়েছে।
