নভেল করোনাভাইরাসের ক্রমবর্ধমান সংক্রমণ রুখতে আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে দেশে এক সপ্তাহের জন্য কঠোর লকডাউন আরোপের আভাস দিয়েছে সরকার। এ সময় জরুরি সেবা ছাড়া সবকিছুই বন্ধ থাকবে। এ অবস্থায় কঠোর লকডাউন চলাকালীন দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন চালু থাকবে কিনা এ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সংশয় তৈরি হয়েছে। অবশ্য গতকাল পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) জানিয়েছে, কঠোর লকডাউন সত্ত্বেও ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু থাকলে পুঁজিবাজারও চালু থাকবে।
এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বণিক বার্তাকে বলেন, পুঁজিবাজারের লেনদেন চালু রাখতে হলে আবশ্যিকভাবে ব্যাংকের লেনদেন কার্যক্রম চালু থাকতে হবে। গত ৫ এপ্রিল থেকে বলবৎ থাকা এক সপ্তাহের লকডাউনের সময় ব্যাংকের কার্যক্রম চালু থাকায় পুঁজিবাজারও চালু ছিল। একইভাবে ১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর লকডাউনের সময়ও ব্যাংক চালু থাকলে পুঁজিবাজার চালু থাকবে। এ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
১৪ এপ্রিল থেকে সারা দেশে এক সপ্তাহের জন্য সর্বাত্মক বা কঠোর লকডাউন আরোপের বিষয়টি গতকাল গণমাধ্যম কর্মীদের জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তারা জানান, এবারের লকডাউন হবে কঠোর। জরুরি সেবার আওতার বাইরে সবকিছুই বন্ধ থাকবে। মানুষকে অবশ্যই ঘরে থাকতে হবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ যেন বাইরে না যান সেটি নিশ্চিত করা হবে। এছাড়া নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে টানা দুই সপ্তাহ পূর্ণ লকডাউনের সুপারিশ করেছে কভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটিও।
প্রসঙ্গত, গত ৫ এপ্রিল থেকে চলমান লকডাউনে সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত জরুরি সেবার আওতায় ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এর সঙ্গে সংগতি রেখে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সীমিত পরিসরে পুঁজিবাজারেও লেনদেন চলছে। ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু থাকলে পুঁজিবাজারও চালু থাকার বিষয়টি একাধিকবার বিএসইসির পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়েছে।