জিডিটি নিলাম

দুগ্ধপণ্যের দাম সামান্য বেড়েছে

বণিক বার্তা ডেস্ক

দুগ্ধপণ্যের অব্যাহত দরবৃদ্ধির ছন্দপতন ঘটে গত মার্চের সর্বশেষ নিলামে। তবে সে ধারা থেকে ফিরে এসে চলতি মাসের প্রথম গ্লোবাল ডেইরি ট্রেডের (জিডিটি) ২৮১তম নিলামে বেড়েছে বৈশ্বিক দুগ্ধপণ্যের দাম। সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত জিডিটির সর্বশেষ নিলামে দুগ্ধপণ্যের দাম দশমিক শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্য দিয়ে বৈশ্বিক দুগ্ধপণ্যের দাম সর্বনিম্ন বৃদ্ধির রেকর্ডে পৌঁছে। খবর এগ্রিল্যান্ড ফারমার্স জার্নাল।

জিডিটির সর্বশেষ ইভেন্টে মোট ২৫ হাজার ১০৪ টন পণ্যের নিলাম হয়। নিলামে টনপ্রতি দুগ্ধপণ্যের দাম ছিল হাজার ৮১ মার্কিন ডলার। এর আগে টানা আট নিলামে দুগ্ধপণ্যের দাম বাড়ে। পরে মার্চের শেষ নিলামে কমে যায় দুগ্ধপণ্যের দাম। তবে সেখান উত্তরণ ঘটিয়ে চলতি মাসের প্রথম জিডিটি নিলামের সূচকে বৈশ্বিক দুগ্ধপণ্যের দাম সামান্য বেড়েছে। চলতি নিলাম ২০২০ সালের অক্টোবরের দ্বিতীয় নিলামের সর্বনিম্ন মূল্যবৃদ্ধির রেকর্ডকেও ছাড়িয়ে গেছে। 

জিডিটির সর্বশেষ নিলামে বেশকিছু দুগ্ধপণ্যের বাজারমূল্য স্বাভাবিক ছিল। এর মধ্যে চেডার পনির, মাখন, ননিবিহীন গুঁড়ো দুধ ননিযুক্ত গুঁড়ো দুধের দাম ছিল অনেকটাই স্বাভাবিক। এছাড়া নিলামে আগের মতোই সুইট হুই গুঁড়ো দুধের নিলাম ডাকা হয়নি।

সর্বশেষ নিলামে নিউজিল্যান্ডের খামারিদের উৎপাদিত দুগ্ধপণ্যের মধ্যে বাটার মিল্ক পাউডারের (বিএমপি) দাম সর্বোচ্চ বেড়েছে। ঠিক এক মাস আগে একমাত্র যে পণ্যটির দাম কমেছিল সম্প্রতি সেটির দাম বিস্ময়করভাবে বেড়েছে। চলতি মাসের সর্বশেষ নিলামে বাটার মিল্ক পাউডারের দাম সর্বোচ্চ ১৭ দশমিক শতাংশ বেড়েছে। টনপ্রতি এর মূল্য দাঁড়িয়েছে হাজার ৭১০ ডলারে। অন্যদিকে একমাত্র ল্যাকটোজের দাম দশমিক শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে টনপ্রতি হাজার ৩০৭ ডলার।

মাখনের দাম শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে টনপ্রতি হাজার ৭৭৬ ডলার। অন্যদিকে ঘির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। টনপ্রতি ঘির দাম নির্ধারিত হয়েছে হাজার ৮৫ ডলার। 

ননিযুক্ত গুঁড়ো দুধের (এসএমপি) দাম সর্বোচ্চ দশমিক শতাংশ বেড়েছে। টনপ্রতি এর মূল্য দাঁড়িয়েছে হাজার ৩৬৭ ডলারে। অন্যদিকে ননিবিহীন গুঁড়ো দুধের (এএমপি) দাম দশমিক শতাংশ বেড়ে টনপ্রতি হাজার ২০৯ ডলারে দাঁড়িয়েছে। চেডার পনিরের দাম দশমিক শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে হাজার ৩৯৩ ডলার। 

প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক সময়ে মাসে দুটি করে জিডিটির নিলাম ডাকা হয়। চলতি মাসের সর্বশেষ নিলামে এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন দেশের ১৬৯ জন বিডকারী (নিলামে দাম হাঁকান যারা) অংশ নেন। 

চলতি বছর এখন পর্যন্ত মোট সাতটি নিলামের মধ্যে ছয়টিতে দুগ্ধপণ্যের দাম বেড়েছে। তবে এর মধ্যে একমাত্র দশমিক শতাংশ দরপতনের রেকর্ড হয় মার্চের সর্বশেষ নিলামে। অন্যদিকে সর্বশেষ ১৪ নিলামের মধ্যে ১২টিতেই মূল্যবৃদ্ধির ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে দুগ্ধপণ্যের মূল্য সবচেয়ে বেশি বাড়ার রেকর্ড হয় চলতি বছরের মার্চের প্রথম নিলামে। সে সময় দুগ্ধপণ্যের দাম ১৫ শতাংশ বাড়ার রেকর্ড হয়, যা ছিল সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন