যুক্তরাষ্ট্রের কালো তালিকায় চীনের সাত সুপারকম্পিউটার গ্রুপ

বণিক বার্তা ডেস্ক

চীনা সেনাবাহিনীর জন্য সুপারকম্পিউটার তৈরিতে জড়িত থাকার অভিযোগে সাতটি চীনা প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। চীনা প্রতিষ্ঠানের জন্য মার্কিন প্রযুক্তি হাতিয়ে নেয়া কঠিন করে তোলার ক্ষেত্রে এটি বাইডেন প্রশাসনের প্রথম কোনো বড় পদক্ষেপ হতে যাচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার তিনটি চীনা প্রতিষ্ঠান চায়না সুপারকম্পিউটিং সেন্টারের চারটি বিভাগকে মার্কিন কালো তালিকায় যোগ করা হয়েছে। খবর বিবিসি।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন প্রথমবারের মতো বেশ কয়েকটি চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। ওই নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল হুয়াওয়ে, জিটিইসহ ডজনখানেক চীনা প্রযুক্তি জায়ান্ট।

নতুন করে কালো তালিকাভুক্তির মানে হচ্ছে ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে কোনো মার্কিন প্রতিষ্ঠান বিশেষ ছাড়পত্র ছাড়া প্রযুক্তি, সেবা বা অন্য কোনো সহায়তা দিতে পারবে না। মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, প্রতিষ্ঠানগুলো চীনা সেনাবাহিনী এবং গণবিধ্বংসী অস্ত্র তৈরিতে সংশ্লিষ্টদের সহায়তার জন্য সুপারকম্পিউটার তৈরিতে জড়িত ছিল। ওই প্রতিষ্ঠানগুলো চীনে সুপারকম্পিউটার তৈরিতে নেতৃত্ব দিচ্ছিল এবং দেশটির সেমিকন্ডাক্টর স্বনির্ভরতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যমন্ত্রী জিনা রাইমন্ডো বলেন, চীনা সেনাবাহিনীর আধুনিকায়নের নামে সহায়তার মাধ্যমে ওই প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর অস্থিরতা ঠেকাতে বাইডেন প্রশাসন তার ক্ষমতার সবটুকু ব্যবহার করবে।

সর্বশেষ সিদ্ধান্তের ফলে উল্লিখিত প্রতিষ্ঠানগুলোকে মার্কিন প্রযুক্তি পেতে হলে আগে মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ অনুমতি নিতে হবে। মার্কিন প্রযুক্তির মধ্যে ইনটেলসহ প্রসেসর নির্মাতা বিভিন্ন মার্কিন প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তবে তালিকাভুক্তির ফলে মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের জন্য চীনা প্রতিষ্ঠানগুলোয় প্রযুক্তি বিক্রি বা হস্তান্তর নিষিদ্ধ হলেও এর আওতায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভৌগোলিক অবস্থানের বাইরে থাকা কিছু প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় তাইওয়ানভিত্তিক টিএসএমসির কথা। প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ আধুনিক সেমিকন্ডাক্টর নির্মাতা হয়ে উঠেছে।

সাধারণ কম্পিউটারের চেয়ে সুপারকম্পিউটার বেশ ভালো পারফরম্যান্স দেখিয়ে থাকে। সেগুলো প্রতি সেকেন্ডে শতকোটিরও বেশি হিসাব করতে সক্ষম। এক সঙ্গে হাজারো প্রসেসর ব্যবহার করে আবহাওয়ার পূর্বাভাস, জলবায়ু পরিবর্তন, পারমাণবিক পরীক্ষার সিমুলেশন চিকিৎসা খাতে গবেষণা করা যাবে ওই সুপারকম্পিউটারগুলোতে। শব্দের চেয়ে দ্রুতগতির ক্ষেপণাস্ত্রের মতো অত্যাধুনিক অস্ত্র তৈরিতে এগুলো ব্যবহূত হবে।

ওয়াশিংটনের উদ্বেগ, চীন মার্কিন প্রযুক্তি হস্তগত করছে এবং তা সেনাবাহিনীকে সহায়তায় ব্যবহারের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ব্যবধান কমিয়ে আনছে বেইজিং।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন