আজ ঢাকায় আসছেন বাইডেনের বিশেষ দূত জন কেরি

নিজস্ব প্রতিবেদক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জলবায়ুবিষয়ক বিশেষ দূত সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি ঢাকায় আসছেন আজ। জো বাইডেন বিশ্বনেতাদের নিয়ে জলবায়ুবিষয়ক সম্মেলনের আয়োজন করছেন। ২২ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় ভার্চুয়াল সম্মেলনে অংশ নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানাতে বাংলাদেশে আসছেন জন কেরি।

জানা গেছে, আজ কয়েক ঘণ্টার সফরে ঢাকায় আসবেন জন কেরি। ভারত সফররত জন কেরি আজ দিল্লি থেকে বিশেষ উড়োজাহাজে ঢাকায় আসবেন। ঢাকায় আসার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী . কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন।

জন কেরির ঢাকা সফরকালে আলোচনায় জলবায়ু ইস্যুই প্রাধান্য পাবে। তবে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় ইস্যুতেও আলোচনা হতে পারে। আলোচনায় আসতে পারে রোহিঙ্গা ইস্যু। মূলত জো বাইডেনের জলবায়ুবিষয়ক বিশেষ দূত জন কেরি ২২-২৩ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রে ক্লাইমেট ইস্যুতে একটি সম্মেলনের দাওয়াত দিতে ঢাকায় আসবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তিনি জো বাইডেনের পক্ষ থেকে সম্মেলনে অংশ নেয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাবেন। ৪০টি দেশের রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধানের অংশগ্রহণে ভার্চুয়াল মাধ্যমে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

প্রসঙ্গে বাংলাদেশের যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস সম্প্রতি এক প্রেস নোটে জানায়, প্রেসিডেন্টের জলবায়ুবিষয়ক বিশেষ দূত জন কেরি ২২-২৩ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় জলবায়ুবিষয়ক শীর্ষ সম্মেলন লিডারস সামিট এবং পরবর্তী সময়ে জাতিসংঘের জলবায়ুর পরিবর্তনবিষয়ক ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশনের সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর ২৬তম সম্মেলন কপ ২৬ আয়োজনকে সামনে রেখে জলবায়ুবিষয়ক ক্রমবর্ধমান উচ্চাকাঙ্ক্ষা বিষয়ে পরামর্শের জন্য থেকে এপ্রিল পর্যন্ত আবুধাবি, নয়াদিল্লি ঢাকা সফর করবেন।

প্রসঙ্গত, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনেই প্যারিস চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের পুনরায় যোগ দেয়ার বিষয়ে পদক্ষেপ নেন। কয়েকদিন পর ২৭ গত জানুয়ারি তিনি জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় সমৃদ্ধ অর্থনীতির দেশগুলোর প্রচেষ্টা জোরদার করার লক্ষ্যে শিগগিরই একটি শীর্ষ সম্মেলন আহ্বান করার কথা জানিয়েছিলেন। এর ধারাবাহিকতায় জলবায়ুবিষয়ক শীর্ষ সম্মেলন লিডারস সামিট- ৪০ জন বিশ্বনেতাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বাইডেন। ভার্চুয়াল শীর্ষ সম্মেলন বিশ্ববাসীর জন্য সরাসরি টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হবে।

লিডারস সামিট অন ক্লাইমেটে জলবায়ুকেন্দ্রিক পদক্ষেপ গ্রহণের জরুরি প্রয়োজনীয়তা অর্থনৈতিক গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করা হবে। এটি আগামী নভেম্বরে গ্লাসগোয় অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন (সিওপি ২৬ বা কপ ২৬) সফল করার ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে।

উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিজ্ঞানীরা জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব বিলম্বিত করার লক্ষ্যে বিশ্বের উষ্ণায়নকে দশমিক ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমিত রাখার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করছেন। আসন্ন লিডারস সামিট কপ ২৬ উভয় সম্মেলনের মূল লক্ষ্য হবে উষ্ণায়নকে দশমিক ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমিত রাখার প্রচেষ্টাকে সহায়তা করা এবং লক্ষ্যকে অর্জনযোগ্য অবস্থায় বহাল রাখা। এছাড়া সম্মেলনে জলবায়ুকেন্দ্রিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা কীভাবে ভালো বেতনের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে, উদ্ভাবনী প্রযুক্তির উন্নয়ন ঘটাবে এবং ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে জলবায়ু প্রভাবের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে সহায়তা করবে তার দৃষ্টান্তও তুলে ধরা হবে।

সম্মেলন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জ্বালানি জলবায়ুবিষয়ক সংস্থা মেজর ইকোনমিকস ফোরাম অন এনার্জি অ্যান্ড ক্লাইমেট পুনর্গঠন করবে, যা ১৭টি দেশের একটি জোট, যারা একত্রিতভাবে বৈশ্বিক প্রায় ৮০ শতাংশ জিডিপি নিয়ন্ত্রণ করে এবং বিশ্বব্যাপী প্রায় ৮০ শতাংশ নির্গমনের জন্য দায়ী।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন