আঞ্চলিক নিরাপত্তায় হুমকি হতে পারে রোহিঙ্গা সংকট —প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মানবিক বিবেচনাবোধ থেকে বাংলাদেশ মিয়ানমারের ১১ লাখ রোহিঙ্গা নাগরিককে আশ্রয় দিয়েছে। শুরু থেকে বাংলাদেশ রোহিঙ্গা নাগরিকদের নিরাপদ, সম্মানজনক টেকসই প্রত্যাবর্তনের চেষ্টা করে আসছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে তিন বছরের বেশি সময় পার হলেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন এখনো শুরু হয়নি। সমস্যা বাংলাদেশের পরিবেশ, সমাজ অর্থনীতিতে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। সংকটের সমাধান না হলে এটি আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।

গতকাল বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত দশম ডি৮ শীর্ষ সম্মেলনে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি। বছর শীর্ষ সম্মেলনের প্রতিপাদ্য পরিবর্তনশীল বিশ্বে অংশীদারিত্ব: যুবশক্তি প্রযুক্তির প্রস্তুতি

অনুষ্ঠানে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান ডি৮-এর চেয়ারম্যানশিপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করেন। বাংলাদেশ আগামী দুই বছর ডি৮ চেয়ারের দায়িত্ব পালন করবে। সম্মেলনে আরো সংযুক্ত ছিলেন মিসর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান তুরস্কের নেতারা। সম্মেলনে সদস্য দেশের রাষ্ট্র সরকারপ্রধানরাও ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখবেন।

দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে যুবশক্তিকে কাজে লাগানো, তথ্যপ্রযুক্তি সম্ভাবনার পূর্ণ ব্যবহার, প্রয়োজনীয় আইনি, প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামোগত কর্মকাঠামো তৈরি; কানেক্টিভিটি বাড়ানো, সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ব্যবসায়িক ধারণা, মডেল, উদ্ভাবন এবং প্রযুক্তিতে তরুণদের শক্তি সম্ভাবনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বেসরকারি, এমনকি সরকারি থেকে বেসরকারি পর্যায়েও ব্যবসায় উদ্যোগের মাধ্যমে আমাদের যুবকদের একত্রিত হতে উৎসাহিত করা যেতে পারে। ডি৮ বিজনেস ফোরামের সঙ্গে প্রথম ডি৮ ইয়ুথ সম্মেলন একটি বিরল সুযোগ তৈরি করেছে।

সম্মেলনে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ বাংলাদেশের সরকারপ্রধানের। তিনি বলেন, চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের তথ্যপ্রযুক্তি উদ্ভাবনী ক্ষেত্রে কার্যকরী অংশীদারিত্ব এবং বৃহত্তর সহযোগিতা প্রয়োজন। তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে যুবকদের খুব ভালো সম্পৃক্ততা কভিড-১৯ মহামারীর মধ্যেও আমাদের অর্থনীতিকে সচল রেখেছে। গত এক দশকে বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তির ওপর জোর দিয়েছে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তর করেছে।

জোটভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে আন্তঃবাণিজ্য বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দেয়ার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ডি৮ সেক্রেটারিয়েট সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য ক্ষেত্রে সম্ভাবনার তথ্য সরবরাহ করতে পারে। ধরনের তথ্য সদস্য দেশগুলোর মধ্যে আরো বেশি বাণিজ্য বিনিয়োগ করতে সহায়তা করবে। সময় সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ব্যবসায়ীদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং কার্যকর টেকসই উন্নয়নে জোটের জলবায়ু ইস্যুতে সহযোগিতার তাগিদ দেন শেখ হাসিনা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন