কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্তে লকডাউনের মধ্যে দোকানপাট ও শপিংমল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ থেকে ১৩ এপ্রিল সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকবে এসব বিপণিবিতান। গতকাল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন সমন্বয় অধিশাখা থেকে জারি হওয়া এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তবে যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, নভেল করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে শর্তসাপেক্ষে সার্বিক কার্যাবলি অথবা চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনার ধারাবাহিকতায় নতুন এ নির্দেশনা জারি করা হলো।
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে সাতদিনের কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে সরকার। এ বিধিনিষেধের মেয়াদ শেষ হবে ১১ এপ্রিল রাত ১২টায়। ৪ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ সাতদিন পালনের জন্য ১১টি নির্দেশনা দেয়া হয়। সেখানে বলা হয়েছিল, এ সাতদিন শপিংমলসহ অন্যান্য দোকানপাট বন্ধ থাকবে। তবে অনলাইনে কেনাবেচা করা যাবে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই কর্মচারীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে ও কোনো ক্রেতা দোকানে যেতে পারবেন না। এ বিধিনিষেধে বন্ধ রাখা হয়েছিল গণপরিবহনও।
তবে লকডাউন শুরুর পর গণপরিবহন না পেয়ে প্রতিদিন দুর্ভোগ পোহাতে থাকেন সাধারণ মানুষ। বিপদে পড়েন কর্মস্থলগামী মানুষ। এজন্য বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করেন তারা। একই সঙ্গে দোকান ও মার্কেট খুলে দিতেও আন্দোলনে নামেন মালিক-শ্রমিকরা। এরই মধ্যে গত বুধবার ঘোষণা দেয়া হয়, সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিটি করপোরেশন এলাকার মধ্যে গণপরিবহন চলতে পারবে। সে সময় শপিংমল বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় সংশ্লিষ্টরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এমন পরিস্থিতিতে গতকাল পাঁচদিনের জন্য শপিংমল ও দোকান খোলা রাখার ঘোষণা এল।
মূলত বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন যা ইংরেজি ১৪ এপ্রিল পালিত হয় তার আগের দিন পর্যন্ত শপিংমল ও দোকানপাট খোলা রাখার কথা বলা হয়েছে। তবে এরপর কী হবে সে সম্পর্কে প্রজ্ঞাপনে কিছু বলা হয়নি।