শীতলক্ষ্যায় নৌ-দুর্ঘটনা

১৪ কর্মীসহ দায়ী জাহাজকে আটক করেছে কোস্টগার্ড

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর কয়লাঘাট এলাকায় কার্গো জাহাজের ধাক্কায় যাত্রীবাহী লঞ্চ দুর্ঘটনার জন্য দায়ী এসকেএল- লাইটার কার্গো জাহাজটি আটক করেছে কোস্টগার্ড। গতকাল বেলা ১১টায় মুন্সীগঞ্জে মেঘনা নদীতে নোঙর করে জাহাজের নাম রঙ পরিবর্তন করার সময় গজারিয়ায় কোস্টগার্ডের সদস্যরা জাহাজটি এবং জাহাজে কর্মরত ১৪ জন কর্মীকে আটক করেন।

দায়ী জাহাজ এর স্টাফদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ। তিনি বলেন, এপ্রিল বিকাল ৫টা ৫৬ মিনিটের সময় নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল থেকে এমএল সাবিত আল হাসান লঞ্চটি প্রায় অর্ধশত যাত্রী নিয়ে মুন্সীগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল ঘাটে যাওয়ার পথে শীতলক্ষ্যা নদীর কয়লাঘাট এলাকায় নির্মাণাধীন তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর নিকটবর্তী স্থানে পেছন থেকে আসা এসকেএল- নামের লাইটার জাহাজটি ধাক্কা দিয়ে ডুবিয়ে দেয়। এতে লঞ্চটির ৩৪ যাত্রী নিহত হন। আহত হন বেশ কয়েকজন। ঘটনায় বিআইডব্লিউটিএর নারায়ণগঞ্জের (নৌযান যান্ত্রিক ট্রাফিক) উপপরিচালক বাবু লাল বৈদ্য বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

ব্যাপারে বন্দর থানার (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা জানান, লঞ্চ দুর্ঘটনার ঘটনায় বন্দর থানায় বিআইডব্লিউটিএর পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করেছে। কিন্তু মামলাটি তদন্ত করবে নৌ-পুলিশ।

নারায়ণগঞ্জ সদর নৌ-পুলিশের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর শহীদুল ইসলাম বলেন, মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া কোস্ট গার্ডের সদস্যরা দায়ী হিসেবে চিহ্নিত কোস্টাল জাহাজ এসকেএল- আটক করে নৌ-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছেন। নৌ-পুলিশ জাহাজটি নিজেদের হেফাজতে নিয়ে মামলার আলামত হিসেবে জব্দ করেছে। আটককৃত জাহাজের স্টাফদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।

এদিকে লঞ্চ দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটনের জন্য নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটি নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটি গতকাল সকালে গণশুনানি করেছে। এতে দুর্ঘটনাকবলিত লঞ্চ থেকে বেঁচে যাওয়া যাত্রী, প্রত্যক্ষদর্শী নিহতদের স্বজন আহতদের উদ্ধারকারীসহ ২৬ জন অংশ নেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন