চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে প্রচুর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। এটি গত দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। মহামারী থেকে পুনরুদ্ধারে সরকারের দেয়া বিপুল পরিমাণ প্রণোদনা এবং করোনা প্রতিরোধী টিকাদান কর্মসূচির কারণে স্থানীয় চাকরির বাজারে বেশ সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তাছাড়া প্রতিষ্ঠানগুলোকেও সহায়তা দিচ্ছে সরকার, ফলে সংস্থাগুলোর আরো কর্মীর প্রয়োজন হচ্ছে। খবর রয়টার্স।
মার্কিন শ্রম বিভাগের মাসিক কর্মসংস্থান ও লেবার টার্নওভার জরিপের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কভিড-১৯-এর নতুন ঢেউয়ের কারণে ডিসেম্বরে চাকরির বাজার কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল। তবে ফেব্রুয়ারির এ অবস্থা সরকারকে যথেষ্ট স্বস্তি দিয়েছে। ফেব্রুয়ারির শেষ দিন পর্যন্ত কর্মীর চাহিদা ছিল ৭৪ লাখ, যা ২০১৯ সালের জানুয়ারির পর সর্বোচ্চ। মূলত টিকাদান শুরুর পরই বেড়ে যায় কর্মীর চাহিদা।
এছাড়া স্বাস্থ্যসেবা ও সামাজিক সহায়তা খাতে আরো ২ লাখ ৩৩ হাজার কর্মী নিয়োগ করা হবে। যে কয়টি খাতে মহামারী ব্যাপক আঘাত হেনেছিল, তার মধ্যে রয়েছে আবাসন ও খাদ্য পরিষেবা খাত। সেখানেও বেড়েছে কর্মসংস্থানের সুযোগ। সংস্কৃতির ক্ষেত্রে তৈরি হয়েছে ৫৬ হাজার কাজের সুযোগ। অন্যদিকে কাজের সুযোগ কমেছে রাজ্য ও স্থানীয় সরকার, শিক্ষা ও তথ্য খাতে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কভিড-১৯ প্রতিরোধী টিকা কার্যক্রম গতিশীল হওয়ায় এবং হোয়াইট হাউজ ১ লাখ ৯০ হাজার কোটি ডলারের প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করায় কাজের বাজার সুগম হয়েছে। আরো পরিষেবা খাত চালু হলে আরো বেশি কর্মীর চাহিদা হবে এবং কাজের সুযোগ বাড়বে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন জানিয়েছে, পুরোপুরিভাবে টিকা নেয়া একজন মানুষ নিরাপদে বা তুলনামূলক কম ঝুঁকিতে থাকে। সরবরাহ শৃঙ্খলের ওপর জরিপ করে এমন একটি সংস্থা জানিয়েছে, পরিষেবামূলক ব্যবসা, অর্থাৎ যারা মানুষকে বিভিন্ন সেবা দিয়ে থাকে, তাদের নতুন কর্মীর প্রয়োজন হবে। কারণ একটা দীর্ঘ সময় পর তাদের খাতে গ্রাহক সংখ্যা যেমন বাড়ছে, ব্যবসার বিস্তৃতিও বাড়ছে।
তবে মহামারীর আগের অবস্থায় ফিরে যেতে সব খাতেরই আরো কিছু সময় লাগবে। কারণ এখনো করোনার নতুন নতুন ধরন পাওয়া যাচ্ছে। ফলে কবে নাগাদ এই অর্থনৈতিক ক্ষতি খাতগুলো কাটিয়ে উঠবে, সেটি নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়।