শনাক্তের সংখ্যায় আবারো রেকর্ড ৬৩ জনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রতিদিনই বাড়ছে দেশে নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্তের সংখ্যা। গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় হাজার ৬২৬ জনের শরীরে প্রাণঘাতী ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে, যা ভেঙেছে আগের দিনের রেকর্ড। সময়ের মধ্যে মারা গেছেন ৬৩ জন কভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সবশেষ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল সারা দেশে ২৩৭টি পরীক্ষাগারে ৩৪ হাজার ৬৩০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। যার মধ্যে পজিটিভ এসেছে হাজার ৬২৬টি। পর্যন্ত সরকারি বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪৮ লাখ ৮২ হাজার ৫৬৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। গতকাল পর্যন্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন লাখ ৫৯ হাজার ২৭৮ জন। গতকাল মারা যাওয়া ৬৩ জনসহ মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে হাজার ৪৪৭ জনে। সবশেষ বাসা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরো হাজার ২৫৬ জন কভিড-১৯ রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছে। এতে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে লাখ ৬১ হাজার ৬৩৯ জনে।

গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২২ দশমিক শূন্য শতাংশ, মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৫০ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৫ দশমিক ১৯ শতাংশ মৃত্যুর হার দশমিক ৪৩ শতাংশ।

গতকাল মারা যাওয়া করোনা রোগীদের মধ্যে ৩৯ জন পুরুষ ২৪ জন নারী। তারা সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। বয়স বিবেচনায় মৃতদের মধ্যে ৪০ জন ষাটোর্ধ্ব ছিলেন। বাকিদের মধ্যে ১২ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছর, পাঁচজনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর, দুজনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছর, তিনজনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছর একজনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ছিল।

২০২০ সালের মার্চ দেশে করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার ১০ দিন পর প্রথম মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত ২৯ মার্চ দেশে করোনা রোগীর সংখ্যা ছয় লাখ ছাড়িয়ে যায়। ৩১ মার্চ মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়ায় নয় হাজার। যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় শনাক্তের দিক থেকে ৩৩তম স্থানে আছে বাংলাদেশ। মৃতের সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে ৪০তম।

গতকাল সারা দেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী গণটিকা দান কর্মসূচিতে ১৩ হাজার ২৮ জনকে টিকা দেয়া হয়েছে। পর্যন্ত মোট ৫৫ লাখ ৬৮ হাজার ৭০৩ জন নারী পুরুষ টিকা নিয়েছে। আজ থেকে শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় ডোজের টিকা প্রয়োগ।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন