ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানিতে ত্রিপক্ষীয় চুক্তিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানিতে ত্রিপক্ষীয় চুক্তিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ত্রিপক্ষীয় চুক্তির অন্য দেশটি হলো ভারত। বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়ে ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক চূড়ান্ত পর্যায়ে স্বাক্ষরের অপেক্ষায় আছে। জয়েন্ট স্টিয়ারিং কমিটির (জেএসসি) সভার সিদ্ধান্তের আলোকে দেশগুলোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করবে বলে বিদ্যুৎ জ্বালানি বিভাগের করা এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

বিদ্যুতের আঞ্চলিক উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের গৃহীত কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। কমিটির গত মার্চের বৈঠকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হয়। সে প্রতিবেদনে তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত-বাংলাদেশ উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার আওতায় ভারত থেকে দুটি আন্তঃদেশীয় গ্রিড সংযোগের মাধ্যমে হাজার ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে। তার মধ্যে ভারতের বহরমপুর থেকে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে বর্তমানে এক হাজার মেগাওয়াট এবং ত্রিপুরা থেকে কুমিল্লায় ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে। আদানি গ্রুপ ভারতের ঝাড়খণ্ডে হাজার ৬০০ মেগাওয়াট (নেট হাজার ৪৯৬ মেগাওয়াট) কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে, যা সরাসরি বাংলাদেশের জাতীয় গ্রিড সিস্টেমের সঙ্গে যুক্ত হবে। গত নভেম্বর ২০১৭ আলোচ্য বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিষয়ে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বাবিউবো), পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (পিজিসিবি) এবং আদানি গ্রুপের মধ্যে পিপিএ এবং আইএ স্বাক্ষরিত হয়েছে। স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী ডিসেম্বর ২০২২ সাল নাগাদ হাজার ৪৯৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা সম্ভব হবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানির লক্ষ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর আওতায় দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার দ্বার উন্মুক্ত হয়েছে। এরই মধ্যে জিএমআর নির্মিতব্য জল বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

প্রতিবেদনে বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশগুলো ছাড়াও বিবিআইএন, সার্ক, বিমসটেক এবং সাসেক ইত্যাদি আঞ্চলিক, উপ-আঞ্চলিক আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ফোরামের মাধ্যমে বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে বলে বলা হয়। সার্কের মাধ্যমে সার্কভুক্ত অন্য দেশগুলোর সঙ্গে যৌথ সহযোগিতা কার্যক্রম অব্যাহত আছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

বিষয়টি নিয়ে কমিটির সভাপতি মো. শহীদুজ্জামান সরকার বণিক বার্তাকে বলেন, বিদ্যুতের আঞ্চলিক উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের দেয়া প্রতিবেদন নিয়ে সংসদীয় কমিটির বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে আঞ্চলিক উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধির করতে আরো উদ্যোগী হওয়ার বিষয়টি কমিটির আলোচনায় উঠে এসেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন