বেশি চাল আমদানি করলে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবে: অর্থমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

বেশি চাল আমদানি করা হলে দেশের কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। আবার কম চাল আমদানি হলে ভোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এজন্য দেশের চাহিদা অনুসারে যতটুকু চাল আমদানি করা প্রয়োজন ঠিক ততটুকুই আমদানি করা হবে।

গতকাল অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ১২তম এবং সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ১৪তম সভা শেষে এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।

গতকালের ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে অনুমোদনের জন্য উত্থাপিত আটটি প্রস্তাবের সাতটি অনুমোদন পেলেও একটি অনুমোদন পায়নি। অনুমোদিত সাতটি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ হাজার ৭৫৫ কোটি লাখ ৩৫ হাজার ৬১৬ টাকা। মোট অর্থায়নের মধ্যে জিওবি হতে ব্যয় হবে হাজার ৮২ কোটি ৫৯ লাখ ৪৯ হাজার ৬১৩ টাকা এবং ভারতে কর এক্সিম ব্যাংক হতে ঋণ ৬৭২ কোটি ৪৭ লাখ ৮৬ হাজার টাকা।

গতকালের অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে জি টু জি পদ্ধতিতে ভারতের এনএসিওএফ হতে লাখ টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে আমদানির নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এছাড়া ডাক টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড কর্তৃক তৃতীয় সাবমেরিন কেবল স্থাপনসংশ্লিষ্ট অংশের ক্রয় কাজ রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে জনস্বার্থে কনসোর্টিয়ামের নিজস্ব ক্রয় প্রক্রিয়া অনুযায়ী ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

ক্রয়সংক্রান্ত কমিটিতে, ভারতের মেসার্স পিকে এগ্রি লিঙ্ক থেকে ৫০ হাজার টন (+%) নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল ১৭৪ কোটি ৬৫ লাখ ৮৩ হাজার ২০০ টাকায় আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রতি টন চাল আমদানিতে ব্যয় হবে ৪১১ দশমিক ৯৩ ডলার। অন্যদিকে পেট্রোবাংলা কর্তৃক স্পট মার্কেট হতে ১১তম এলএনজি সুইজারল্যান্ডের এওটি ট্রেডিংয়ের নিকট থেকে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি সর্বমোট ২৪৩ কোটি ৩০ লাখ ৩২ হাজার ৩৫৮ টাকায় আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রতি এমএমবিটিইউ এর দাম পড়বে দশমিক ২৫৮৮ ডলার।

সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় সড়ক পরিবহন মহাসড়ক বিভাগের অধীন সড়ক জনপথ অধিদপ্তর কর্তৃক গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কে পণ্য পরিবহনের উৎসমুখে এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের কাজ ১৮৮ কোটি ৩৫ লাখ ৫৬ হাজার ৪৫৬ টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এছাড়া শরীয়তপুর (মনোহর বাজার)-ইব্রাহিমপুর ফেরী ঘাট পর্যন্ত সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের একটি প্যাকেজের কাজ ১০৩ কোটি ৩৭ লাখ ৪৪ হাজার ৩৬ টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এছাড়া একই প্রকল্পের অন্য একটি প্রকল্পের কাজ ১০৬ কোটি ৮৪ লাখ ৭০ হাজার ৯১৫ টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন আশুগঞ্জ নদীবন্দর-সরাইল-ধরখার-আখাউড়া স্থলবন্দর মহাসড়ককে চার লেনে জাতীয় মহাসড়কে উন্নীতকরণ ৭৮৮ কোটি ৩৮ লাখ ৫৮ হাজার ৬৮৮ টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক খুলনা শিপইয়ার্ড সড়ক প্রশস্তকরণ উন্নয়ন প্রকল্পের একটি প্যাকেজের পূর্ত কাজ টিইসির সুপারিশ বাতিলপূর্বক পুনঃমূল্যায়নের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। মেঘনা নদীর ওপর শরীয়তপুর-চাঁদপুর সড়কে গজারিয়া মুন্সীগঞ্জ সড়কে সেতু নির্মাণে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনা এবং মাস্টারপ্লান প্রণয়নে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ছয়টি প্রতিষ্ঠানকে ২৪৩ কোটি ১৮ লাখ ৫৯ হাজার ৫৬৩ টাকায় নিয়োগের অনুমোদন দেয়া হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন