করোনা পরিস্থিতিতে জনসাধারণের প্রাণিজ পুষ্টি নিশ্চিতকরণে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে গতকাল সারা দেশে ন্যায্যমূল্যে দুধ, ডিম ও মাংস ভ্রাম্যমাণ পদ্ধতিতে বিক্রি শুরু হয়েছে।
এদিন রাজধানীর সচিবালয় গেট, খামাবাড়ি, মিরপুর-১০ নং গোল চক্কর ও ধানমন্ডি এলাকায় ভ্রাম্যমাণ গাড়িতে বিক্রি শুরু হয়। প্রথম দিনে রাজধানীতে প্রায় ১ হাজার ২০০ লিটার দুধ বিক্রি হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতিতে ক্রমে ঢাকার ১০টি স্থানে ডেইরি ও পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনসহ প্রান্তিক খামারিদের সম্পৃক্ত করে ভ্রাম্যমাণ পদ্ধতিতে বিক্রি অব্যাহত রাখার পরিকল্পনা নিয়েছে ঢাকা জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর। পাশাপাশি দেশের সব জেলা ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ পদ্ধতিতে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রি চলমান থাকবে। ভ্রাম্যমাণ পদ্ধতিতে খামারিরা ন্যায্যমূল্যে সরাসরি ভোক্তাদের কাছে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রির সুযোগ পাবেন।
মঙ্গলবার বিদ্যমান করোনা পরিস্থিতিতে সরকার ঘোষিত চলমান নিষেধাজ্ঞাকালে মাছ, হাঁস-মুরগি, গবাদি পশু, দুধ, ডিম, মাছের পোনা, মুরগির বাচ্চা, পশুচিকিৎসা সামগ্রী, টিকা, কৃত্রিম প্রজনন সামগ্রী, মৎস্য ও পশুখাদ্য, ওষুধ ইত্যাদি পরিবহন ও বিপণন কার্যক্রম নিশ্চিতকরণ বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় আয়োজিত ভার্চুয়াল সভায় সারা দেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের ভ্রাম্যমাণ পদ্ধতিতে বিক্রি চালুর নির্দেশ দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
এ সময় তিনি বলেন, ‘আমরা সবকিছু বন্ধ করে দিলে মানুষের মাছ, মাংস ও দুধ ডিমের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে না। আবার উৎপাদক, খামারি, বিপণনকারীসহ এ খাতসংশ্লিষ্ট অন্যরাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। গত বছর এ খাতের সংকট উত্তরণে ভ্রাম্যমাণ বিক্রি ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল, কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে, পরিবহনের বাধা দূর করা হয়েছে। বন্দরে মৎস্য ও প্রাণী খাদ্য ছাড়করণেও আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। চলতি বছরও প্রান্তিক খামারিদের উৎপাদিত পণ্য ভ্রাম্যমাণ বিক্রির ব্যবস্থা করতে হবে।’
ভ্রাম্যমাণ পদ্ধতিতে বিক্রির জন্য জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে প্রয়োজনীয় সমন্বয় করার জন্য সভায় সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় ও জেলা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের তত্পর থাকার নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী।