টিকা উৎপাদনের বাড়তি চাহিদা মেটাতে তিন হাজার কোটি রুপি ঘাটতির কথা জানিয়েছেন ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আদর পুনেওয়ালা। খবর এনডিটিভি।
প্রতি মাসে ১ কোটি ১০ লাখ ডোজ টিকা উৎপাদনের প্রত্যাশার কথা জানিয়ে আদর পুনেওয়ালা বলেন, সেরাম ইন্সটিটিউট বর্তমানে প্রতিমাসে ৬০ মিলিয়ন ডোজ টিকা উৎপাদন করছে। কিন্তু ভারতসহ বিশ্বব্যাপী করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় দ্রুততম সময়ে বেশি পরিমাণ টিকা উৎপাদনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় আগামী জুন থেকে প্রতি মাসে ১১০ মিলিয়ন ডোজ টিকা উৎপাদনের লক্ষ্যে কাজ করছে তারা। যদিও এ লক্ষ্য অর্জনের জন্য তাদের এই মূহুর্তে তিন হাজার কোটি রুপির ঘাটতি রয়েছে।
টিকা উৎপাদনে কয়েক হাজার কোটি রুপি এরই মধ্যে খরচ হয়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারতে ১০ কোটি ডোজ টিকা সরবরাহ করা হয়েছে এবং ৬ কোটি ডোজ টিকা বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হয়েছে।
সেরাম ইন্সটিটিউটের প্রধান বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় অলাভজনক উপায়ে টিকা উৎপাদনের জন্য সেরাম ইন্সটিটিউট সরকারের সঙ্গে কাজ করছে। এই মূহুর্তে গ্রহের আর কোনো প্রতিষ্ঠান বিনা পুঁজিতে টিকা উৎপাদনে কাজ করছে না।
পরে বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেয়া সাক্ষাত্কারে একই কথার পুনরাবৃত্তি করে সেরামের সিইও বলেন, ভারতের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে কঠোর পরিশ্রম করছে সেরাম ইন্সটিটিউট। প্রতিষ্ঠানটি জাতিসংঘের কোভ্যাক্স প্রকল্পের মূল টিকা সরবরাহকারী। বিশ্বব্যাপী করোনার টিকা বিতরণ এ প্রকল্পের লক্ষ্য। প্রতিদিন কোভ্যাক্সকে ৯ কোটি ডোজ টিকা সর্বরাহের চুক্তি হয় সেরামের সঙ্গে। কিন্তু ভারতে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় ভারতের অভ্যন্তরীণ চাহিদাকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে চলতি বছরের ২৫ মার্চ কোভ্যাক্সের পক্ষ থেকে কড়া হুমকির সম্মুখীন হয় প্রতিষ্ঠানটি। এ অবস্থায় টিকা উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা বৃদ্ধি করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।