দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট

নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ফেরি পারাপার শত শত যাত্রীর

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, রাজবাড়ী

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই ফেরিতে চড়ে নদী পার হয়েছে ঘরমুখো শত শত মানুষ। সপ্তাহব্যাপী লকডাইনের দ্বিতীয় দিনে রুটে সকাল থেকেই ১৬টি ফেরি চলাচল করছিল। এসব ফেরিতে নিষেধাজ্ঞা স্বাস্থ্যবিধির বালাই না করেই নদী পার হন শত শত যাত্রী। পরে সন্ধ্যায় দুটি ছাড়া সব ফেরি বন্ধ করে দিলে যাত্রী পারাপার বন্ধ হয়। এদিকে ফেরি চলাচল সীমিত হয়ে যাওয়ায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ঘাটের দুই পাশেই আটকে ছিল কয়েকশ পণ্যবাহী ট্রাক।

গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার সময় দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটের নম্বর ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, পাটুরিয়া থেকে ছেড়ে আসা একটি ফেরিতে অন্তত ৫০০ যাত্রী গাদাগাদি করে নদী পার হয়েছেন। এদের বেশির ভাগের মুখেই মাস্ক ছিল না।

খায়রুল বাশার নামে এক যাত্রী বলেন, এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করায় ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরছি। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বাধ্য হয়ে ফেরিতে আসতে হয়েছে। ফেরিতে অনেক যাত্রী একসঙ্গে আসায় করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় ঝুঁকিতে আছি। ফেরিতে মাস্ক ছাড়া গাদাগাদি করে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করে পার হয়েছেন যাত্রীরা।

এদিকে সোমবার রাত থেকে গতকাল বেলা ১১টা পর্যন্ত নৌরুটে ১৬টি ফেরি চলাচল করলেও ১১টার পর থেকে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সীমিত করা হয় ফেরি পারাপার। এতে বিকালে দৌলতদিয়া ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঘাট এলাকায় ৪০০ অন্যদিকে গোয়ালন্দ মোড় এলাকায় আরো অন্তত ৩০০ পণ্যবাহী ট্রাক পার হওয়ার অপেক্ষায় আটকা পড়ে।

বিআইডব্লিইটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের এজিএম ফিরোজ শেখ বলেন, নৌরুটে ১৬টি ফেরি সচল রয়েছে। ১৬টি ফেরি দিয়েই পারাপার সচল রাখা হয়েছিল। কিন্তু লকডাউনের কারণে বেলা ১১টার পর থেকে মাত্র দুটি ফেরি দিয়ে জরুরি যানবাহন অ্যাম্বুলেন্স পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার করা হচ্ছে। ফলে ঘাটের উভয় পারে কিছু ট্রাক আটকা পড়েছে। তবে রাতে আটকে থাকা পচনশীলসহ সব ট্রাক পার করা হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন