আজ শুরু হচ্ছে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ

নিজস্ব প্রতিবেদক

মুজিব বর্ষে শপথ নেবো, জাটকা নয় ইলিশ খাবো’— স্লোগান নিয়ে আজ শুরু হচ্ছে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ২০২১ ১০ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের জাটকা সম্পৃক্ত ২০টি জেলায় জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ পালন করা হবে। জাটকা সংরক্ষণের জন্য মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস দেশের ছয়টি জেলার পাঁচটি ইলিশ অভয়াশ্রমে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। নিষেধাজ্ঞার আওতায় বরিশাল, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, ভোলা, শরীয়তপুর পটুয়াখালী জেলার ইলিশ অভয়াশ্রম-সংশ্লিষ্ট নদ-নদীতে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ রয়েছে।

জানা গেছে, বছর নিষিদ্ধ সময়ে অভয়াশ্রম সংশ্লিষ্ট ছয়টি জেলার জাটকা আহরণে বিরত থাকা লাখ ৪৩ হাজার ৭৭৮ জন জেলের জন্য মাসে ৪০ কেজি করে দুই মাসে ৮০ কেজি হারে মোট ১৯ হাজার ৫০২ টন ভিজিএফ চাল দিয়েছে মত্স্য প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সপ্তাহ সামনে রেখে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় সীমিত পরিসরে কর্মসূচি গ্রহণ করেছে মত্স্য প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সপ্তাহের উদ্বোধনী দিন মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলন করবেন মত্স্য প্রাণিসম্পদমন্ত্রী রেজাউল করিম। আজ জাতীয় দৈনিকে ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে।

আগামীকাল কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন সীমিত পরিসরে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ২০২১-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মত্স্য অবতরণ কেন্দ্র, মাছের আড়ত, বাজারসহ জনাকীর্ণ স্থানে জাটকা সংরক্ষণের গুরুত্ব -সংক্রান্ত আইন বিষয়ে প্রচার কার্যক্রম, টেলিভিশনে জাটকা সংরক্ষণের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠান প্রচার, গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের সহায়তায় ঢাকাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ভিডিও চিত্র প্রদর্শন, জাটকা সংরক্ষণে হাটবাজার আড়তে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা এবং ইলিশ আহরণে সম্পৃক্ত প্রকৃত মত্স্যজীবীদের মধ্যে বিকল্প কর্মসংস্থানের উপকরণ বিতরণ কর্মসূচি।

এছাড়া জেলা-উপজেলা কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে জেলেদের মধ্যে নৌকাবাইচ, হাডুডু, সাঁতার ইত্যাদি ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজন, জাটকা সমৃদ্ধ এলাকায় ভিডিওচিত্র প্রদর্শন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা, মত্স্যজীবী জেলেপল্লীতে সচেতনতামূলক উদ্বুদ্ধকরণমূলক পথনাটক, আঞ্চলিক সংগীত লোকসংগীত পরিবেশন এবং জাটকা রক্ষায় জেলা-উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির মাধ্যমে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা। তবে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় চলতি বছর সব কর্মসূচি সীমিত পরিসরে পালন করা হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন