নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কারণে ৩০ মার্চ স্কুল-কলেজ না খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আসন্ন ঈদুল ফিতরের পর ২৩ মে থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণীকক্ষে পাঠদান শুরু হবে। গতকাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে অতিসম্প্রতি চলমান কভিড-১৯ অতিমারীতে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারী ও অভিভাবকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে মন্ত্রণালয়। তাই কভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণীকক্ষে পাঠদান আগামী ২৩ মে থেকে শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে এর আগ পর্যন্ত অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম যথারীতি অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশে গত বছরের ৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর পরই গত বছরের ১৬ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। তবে সংক্রমণ কমে যাওয়ায় গত বছরের ডিসেম্বর থেকে শিক্ষার্থী-অভিভাবকসহ বিভিন্ন মহল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি জানাতে শুরু করে। পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে গত ফেব্রুয়ারিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার তারিখ ঘোষণা করে সরকার। এক্ষেত্রে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩০ মার্চ ও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আগামী ২৩ মে থেকে পাঠদান শুরুর তারিখ নির্ধারণ করা হয়। তবে চলতি মাসে ফের বাড়তে শুরু করে সংক্রমণের হার। ফলে ৩০ মার্চ থেকে স্কুল-কলেজ খোলার বিষয়টি আবারো অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে। এমন পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে স্কুল-কলেজ খোলার নতুন তারিখের ঘোষণা এল।
