সেমিনারে বিএসইসির চেয়ারম্যান

ইকুইটি মার্কেটনির্ভরতা থেকে বের হতে কাজ করছে কমিশন

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের পুঁজিবাজারকে এগিয়ে ইকুইটি মার্কেটনির্ভরতা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সেমিনারে বক্তব্যকালে এমন তথ্য জানান বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম। সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী: বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের আলোকে শেয়ারবাজারের সম্ভাবনা শীর্ষক সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। ডিএসইর চেয়ারম্যান ইউনুসুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

সেমিনারে বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশের শেয়ারবাজার সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সঠিক ভিশন মিশন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে শেয়ারবাজার। বাজারকে সবার সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী বাজারে পরিণত করা হবে।

তথ্যপ্রযুক্তির উন্নতির মাধ্যমে পুঁজিবাজারের কারসাজি বন্ধ করা সম্ভব উল্লেখ করে বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, করোনা আইটি খাতের গুরুত্ব বুঝিয়ে দিয়ে গেছে। আইটি ছাড়া ভবিষ্যতে চলাচল করা অসম্ভব। তাই দেশের শেয়ারবাজারকে পুরোপুরিভাবে আইটিতে রূপান্তর করতে হবে। এর মাধ্যমে স্বচ্ছতা জবাবদিহিতা বাড়বে। এছাড়া যারা গুজব ছড়িয়ে কম দামে শেয়ার হাতিয়ে নিতে চান, সেটাও বন্ধ হয়ে যাবে।

পুঁজিবাজারে আইটি কাঠামো উন্নতির জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়কে সঙ্গে নিয়ে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে কাজ করা হচ্ছে জানিয়ে অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম বলেন, শেয়ারবাজারের আইটি কাঠামো গঠনের জন্য বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। তারা এজন্য অনুদান দিতে সম্মত হয়েছে। হয়তো সেটা কয়েক মাসের মধ্যে পেয়ে যাব। শিগগিরই বিষয়ে একটি সুখবর আসবে।

বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান আইসিবি সম্পর্কে চেয়ারম্যান বলেন, আইসিবিকে শক্তিশালী করা দরকার। এরই মধ্যে প্রতিষ্ঠানটিকে ঢেলে সাজানোর কাজ শুরু হয়ে গেছে। প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারবাজারে অনেক গুরুত্ব। কিন্তু যে উদ্দেশ্যে এটি গঠন করা হয়েছে, সেখান থেকে প্রতিষ্ঠানটি অনেক দূরে।

শেয়ারবাজারের দুর্বল কোম্পানিগুলোকে এগিয়ে নিতে কমিশন কাজ করছে বলেও জানান বিএসইসির চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ওটিসি মার্কেটে অনেকগুলো কোম্পানি রয়েছে। কমিশনের উদ্যোগে এরই মধ্যে চারটি সেখান থেকে বেরিয়ে এসেছে। এছাড়া অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটি পথে রয়েছে। ২১টি কোম্পানি এটিবিতে যাওয়ার জন্য আবেদন করেছে। আরো ১৮টি কোম্পানি ভালো করার জন্য কাজ চলছে বলে জানান তিনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, গত বছরের বাজেটে শেয়ারবাজারের জন্য যা চাওয়া হয়েছিল, তার চেয়ে বেশি দেয়া হয়েছে। আমরা কালোটাকা বিনিয়োগের সুযোগ করে দিয়েছি। নগদ লভ্যাংশে উৎসাহিত করেছি। সময় আসন্ন ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটকে কেন্দ্র করে সবার উপকারে আসবে এমন কোনো পরামর্শ থাকলে, তা দেয়ার অনুরোধ করেন তিনি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন