চারজন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েও কিশোরীটিকে বাঁচানো গেল না

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলায় বুধল ইউনিয়নে বিদ্যুতের তার ছিড়ে প্রায় মাটির সঙ্গেই ঝুলছিল। সেই তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে চিৎকার করেন শান্তা আক্তার নামের ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরী। তাকে বাঁচাতে একে একে চারজন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছেন। উদ্ধার করে হাসপাতালেও নেয়া হয়েছিল। তবে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ‍মৃত ঘোষণা করেছেন।

গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শান্তা বুধল ইউনিয়নের চান্দিয়ারা আলগা বাড়ির জজ মিয়ার মেয়ে। সে স্থানীয় একটি মাদরাসার শিক্ষার্থী ছিল।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, সকালে বিদ্যুতের তার ছিড়ে উঠানে পড়ে থাকতে দেখে শান্তা সেই তার সরাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। শান্তা আক্তারের চিৎকার শুনে তার ভাতিজিকে বাঁচাতে গিয়ে ফখরুদ্দিনও (৫৫) বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। পরে ফখরুদ্দিনকে বাঁচাতে গিয়ে একে একে তার স্ত্রী হাসনা বেগম (৪৫) ও তাদের ৭ বছরের নাতনী সামিয়া।

নিহতের চাচা রাহিম জানান, খবর পেয়ে সবাইকে দ্রুত উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসক শান্তাকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্যদের চিকিৎসা চলছে।

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মৃত্যুর পর শান্তার মরদেহ পরিবারের লোকেরা নিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে এখনোও কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন