বঙ্গবন্ধুর ভাষণের প্রতিটি লাইন তার হূদয় থেকে উৎসারিত —ইউনেস্কোর শুভেচ্ছা দূত প্রিন্সেস ডানা

নিজস্ব প্রতিবেদক

জর্ডানে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে ঐতিহাসিক মার্চের ৫০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে গতকাল ওয়েবিনারের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জর্ডানে ইউনেস্কোর শুভেচ্ছা দূত প্রিন্সেস ডানা। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে যুক্ত হন শিক্ষাবিদ জর্ডান ডিপার্টমেন্ট অব আন্টিকসের সাবেক পরিচালক ডক্টর মন্থেস জাহাস জামহাওয়ি এবং ঢাকা থেকে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী শাহ আলী ফরহাদ বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা অভিনেতা এম খালেকুজ্জামান।

জর্ডানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহান অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণটি ইংরেজি সাবটাইটেলসহ দেখানো হয়।

প্রিন্সেস ডানা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মার্চের ভাষণের প্রতিটি লাইন তার হূদয় থেকে উৎসারিত। প্রতিটি শব্দ তার দৃঢ় বিশ্বাস আস্থার সাক্ষ্য বহন করে। তিনি তার জীবনের মধ্য দিয়েই দেখিয়েছিলেন, তিনি ব্যক্তিগত লাভকে অগ্রাহ্য করতে এবং তার দেশ মানুষের জন্য আত্মত্যাগ করতে সর্বদা প্রস্তুত ছিলেন। তিনি যখন ঘোষণা করেন রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দিব, তার মধ্য দিয়েই প্রকাশ পায় নিজ জাতির জন্য বঙ্গবন্ধুর অপরিমেয় ভালোবাসা। বিশ্বের যেকটি দেশ যুদ্ধ করে স্বাধীনতা লাভ করেছে, বাংলাদেশ তার মধ্যে অন্যতম। বঙ্গবন্ধু মার্চ যে ভাষণ দিয়েছিলেন তা এতটাই প্রেরণাদায়ক ঐতিহাসিক যে, ইউনেস্কো ২০১৭ সালে তার সেই অবিসংবাদিত ভাষণকে বিশ্ব ঐতিহ্যের প্রামাণ্য দলিল হিসেবে গ্রহণ করে।

বঙ্গবন্ধুর মার্চের ভাষণ বিশ্ব ঐতিহ্যের এক অনন্য সম্পদ উল্লেখ করে প্রিন্সেস ডানা বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাষণটিতে একটি স্বাধীন দেশের ঘোষণা যেমন ছিল, সেই সঙ্গে ছিল উপনিবেশিক রাষ্ট্রগুলো যেভাবে সামাজিক, রাজনৈতিক জাতিগতভাবে একটি জনগোষ্ঠীকে বিচ্ছিন্ন করে তোলে, তার বিরুদ্ধে একটি সাহসী উচ্চারণ। সম্পদ উপযুক্ত সমরাস্ত্রবিহীন একটি ছোট দেশের শুধু সহায় সম্বলহীন মানুষের শক্তিকে ভিত্তি করে স্বাধীনতার স্বপ্নকে সবার মধ্যে ছড়িয়ে দেয়া তাকে বাস্তবায়িত করার ঘটনা বিশ্বে বিরল, যা হয়তো একজন মহান নেতৃত্বের কারণেই সম্ভব হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর ভাষণকে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে ঘোষণা করে ইউনেস্কো তার নিজস্ব ইতিহাসকেই সমৃদ্ধ করল।

অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর মার্চের ভাষণের ওপর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নির্মিত একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। উল্লেখ্য, জর্ডানে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত এটি দূতাবাসের মুজিব বর্ষ ওয়েবিনার সিরিজ-এর পঞ্চম ওয়েবিনার।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন