নওগাঁয় ৪০ গ্রাহকের টাকা নিয়ে উধাও এনজিও

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, নওগাঁ

নওগাঁয় ৪০ জন গ্রাহকের প্রায় লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে স্বদেশ উন্নয়ন সংস্থা (সুখ) নামের একটি এনজিও। মার্চ থেকে ওই এনজিওর কার্যালয় বন্ধ। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন প্রতারিত গ্রাহকরা। ঘটনায় তারা থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। এদিকে এনজিও কার্যালয় ভবনের মালিক নিরাপত্তার স্বার্থে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। তবে জেলা সমাজসেবা সমবায় অফিস জানায়, নামের কোনো সংস্থা রেজিস্ট্রেশন করেনি।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি শহরের জগিসংহপুর মহল্লার বটতলা মোড়সংলগ্ন শামসুল হক নামে একজনের বাসার দ্বিতীয় তলা ভাড়া নিয়ে স্বদেশ উন্নয়ন সংস্থার (সুখ) কার্যক্রম শুরু করা হয়। সংস্থার পরিচালক পরিচয় দেন খুলনা জেলার সাইফ হোসেন এবং ম্যানেজার পরিচয় দেন সিরাজগঞ্জ জেলার তাজবীর জুয়েল। এরপর দুজন দুই বছর মেয়াদি লাখ টাকা ক্ষুদ্র ঋণ দেয়ার কথা বলে ৪০ জন মানুষের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা করে সংগ্রহ করেন। তারা গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রায় লাখ টাকা সংগ্রহ করেন। ঋণ নেয়ার জন্য গ্রাহকদের গত মার্চ অফিসে যেতে বলা হয়। কিন্তু তারা গিয়ে দেখেন অফিসে তালা দেয়া। গ্রাহকরা এনজিওর কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।

মঙ্গলপুর গ্রামের ভুক্তভোগী আশিক হোসেন বলেন, আমি লাখ টাকা ঋণ নেব বলে স্ত্রীর মাধ্যমে তাদের ১০ হাজার টাকা দিয়েছি। কিন্তু মার্চ ঋণ নেয়ার জন্য অফিসে গিয়ে দেখি তালাবদ্ধ, তাদের ফোনও বন্ধ।

নওগাঁ সদর উপজেলার শারমিন বলেন, আমি ৫০ হাজার টাকা দিয়ে ওই অফিসে অফিস সহায়কের চাকরি শুরু করি। গত মার্চ অফিসে গিয়ে দেখি বন্ধ। তাদের ফোনও বন্ধ পাচ্ছি।

ভবনের মালিক শামসুল হক বলেন, ওই এনজিও গত ২৩ ফেব্রুয়ারি সাড়ে হাজার টাকায় ভাড়া এবং লাখ টাকা জামানত দিয়ে বাসায় ওঠে। গত মার্চ সিকিউরিটি, বাসা ভাড়ার টাকা এবং ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই দিনের পর থেকে তাদের ফোন নম্বর বন্ধ, অফিসেও কেউ আসছে না।

নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জুয়েল বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন