সিলেট সিটি করপোরেশন

ছয় বছরেও কাজে লাগেনি দেড় কোটি টাকার ফুট ওভারব্রিজ

দেবাশীষ দেবু, সিলেট

সিলেট নগরের বন্দরবাজার এলাকার কোর্ট পয়েন্টে ২০১৫ সালে প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় সিলেটের প্রথম পদচারী সেতু (ফুট ওভারব্রিজ) তবে নির্মাণের ছয় বছরেও কোটি টাকার সেতু ব্যবহার করেনি স্থানীয় জনগণ।

অপরিকল্পিতভাবে পদচারী সেতু নির্মাণ করায় এটি স্থানীয়দের কোনো কাজেই আসছে না। উল্টো সেতুর কারণে ব্যাহত হচ্ছে সড়ক সম্প্রসারণ কাজ। সরু সড়কের ওপর নির্মিত সেতুটি সরকারি অর্থের অপচয় ছাড়া আর কিছু নয় বলে মনে করছে সচেতন মহল।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নগরের চৌহাট্টা বন্দরবাজার সড়ক সম্প্রসারণের কাজ করছে সিসিক। কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০১৯ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর সড়ক সম্প্রসারণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। চলতি বছরের ৩০ মার্চ সম্প্রসারণ কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় পদচারী সেতুর কারণে আটকে আছে সড়ক সম্প্রসারণ কাজ। তবে মুহূর্তে সেতুটি অপসারণের কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছে সিলেট সিটি করপোরেশন।

সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী বলেন, পদচারী সেতু বিক্রির জন্য দুই দফা নিলাম আহ্বান করা হয়। কিন্তু ২২ লাখ টাকার বেশি কেউ দিতে চায়নি। চাহিদামতো দাম না পাওয়ায় এটি বিক্রি করা যায়নি। তবে এখন সেতুটি স্থানান্তরের কোনো পরিকল্পনা নেই।

সিলেট সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালে নগরের ব্যস্ততম কোর্ট পয়েন্টে কোটি ৬৩ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। আধুনিক নির্মাণ প্রকৌশল ব্যবহার করে নির্মিত সেতুটি ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর উদ্বোধন করেন সিলেট- আসনের তত্কালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এমপি।

সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) সিলেটের সদস্য মুনির হেলাল বলেন, সিটি করপোরেশনের প্রধান দায়িত্ব নাগরিকদের বিভিন্ন সুবিধা নিশ্চিত করা। কিন্তু কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ না নিয়ে অপরিকল্পিত ফুট ওভারব্রিজসহ নানা বিলাসী চিন্তাভাবনা বাস্তবায়নে কাজ করছেন। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর উচিত বিলাসী চিন্তা ত্যাগ করে নাগরিকবান্ধব কাজে মনোনিবেশ করা।

সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, সাধারণ পথচারীদের সুবিধা সড়ক পারাপারে নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে পদচারী সেতুটি নির্মাণ করা হয়। তবে কার্যত পথচারীরা এটি ব্যবহার করছেন না।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন