কভিড-১৯ মহামারীতে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও চীনে বাজার অংশীদারিত্ব হারিয়েছে যুক্তরাজ্য। এ পরিস্থিতির পেছনে বিশ্ববাণিজ্যে বিশৃঙ্খলা, ব্রেক্সিট ও দুর্বল উৎপাদনশীলতাকে দায়ী করা হয়েছে। উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে দীর্ঘমেয়াদি স্থবিরতার কারণে যুক্তরাজ্য বিশেষত দুর্বল পারফর্ম করেছে। গতকাল প্রকাশিত অ্যাস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের লয়েডস ব্যাংকিং গ্রুপ সেন্টার ফর বিজনেস প্রসপারিটি শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য দেয়া হয়েছে।
সমীক্ষায় বলা হয়েছে, সব দেশ কভিড-১৯ মহামারীতে গোলমেলে পরিস্থিতির মধ্যে ছিল। যুক্তরাজ্য এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির মতো বৃহত্তম রফতানি বাজার হারিয়েছে। দেশটি যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও চীনের মতো কয়েকটি মূল বাজারে তীব্র রফতানি হ্রাস, ধীরগতির পুনরুদ্ধার এবং বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে পড়ার মতো পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে।
উদাহরণ হিসেবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে জার্মানিতে যুক্তরাজ্যের মোট রফতানি ৮ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। এটি ইতালিতে ১২ শতাংশ, নেদারল্যান্ডসে ১৪ শতাংশ, স্পেনে ২০ শতাংশ এবং যুক্তরাষ্ট্রে ২৪ শতাংশ বৃদ্ধির তুলনায় কম। ২০১৬ সালে ব্রেক্সিট গণভোটের পর থেকে জার্মানিতে যুক্তরাজ্যের রফতানিতে মন্দা ভাব চলছে। এটা দেশ দুটির মধ্যে হতাশার ইঙ্গিত দেয়।
জাতিসংঘের বাণিজ্য পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করে এ সমীক্ষায় ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে, যুক্তরাজ্য চীনা বাজারেরও অংশীদারিত্ব হারিয়েছে। কভিড-১৯, ব্রেক্সিট ও যুক্তরাজ্যের ধীর উৎপাদনশীলতার চ্যালেঞ্জগুলোর সংমিশ্রণে অদূরভবিষ্যতে ব্রিটিশ ব্যবসা প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে পারে বলেও পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।