শ্রদ্ধাঞ্জলি

স্মরণের আবরণে আবুল মকসুদ

ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ

বিশিষ্ট লেখক-গবেষক, জনপ্রিয় কলামিস্ট, পরিবেশ সামাজিক আন্দোলনে নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্ব মানবাধিকার কর্মী সৈয়দ আবুল মকসুদের (১৯৪৬-২০২১) ৭৪ বছর বয়সে অকস্মাৎ প্রয়াণ সাম্প্রতিক সমাজ-সংস্কৃতিতে মুক্তবুদ্ধি চর্চার, অনুধান-অধ্যয়ন পরিবেশ-পরিস্থিতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি, দারুণ দুঃসংবাদ। একথা সত্যি যে বিশ্বময় মৃত্যুর মিছিল বাড়ছে। মহামারী করোনার সম্মোহিত সময়ে আমাদের এই মৃত্যু উপত্যকায় সমাজ-সাহিত্য-সংস্কৃতিচিন্তক সৈয়দ আবুল মকসুদের মতো মুক্তবাক ব্যক্তিত্বের তিরোধান বিস্ময়কর এবং অনির্বচনীয় বেদনার। তিনি ছিলেন মুক্তবুদ্ধি বৈশিষ্ট্যের অধিকারী এবং আমাদের সমকালীন সমাজ পরিবেশে তার অবিসংবাদিত উপস্থিতির প্রয়োজনীয়তা ছিল অপরিসীম।

প্রসঙ্গত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্মশতবর্ষ উদযাপন কমিটির একটি বিশেষ কর্মকাণ্ডে আমাদের রীতিমতো পথে বসিয়ে স্বল্প সময়ের নোটিসে চলে গেলেন সৈয়দ আবুল মকসুদ। করোনায় সংক্রমিত হয়ে উপযুক্ত প্রযত্ন না পেয়েই অনেকটা অগোচরে সহসা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। সমাজে চলমান হতবাক করার মতো অনেক ঘটনা-দুর্ঘটনার ডামাডোলে করোনায় আক্রান্ত সৈয়দ আবুল মকসুদের চিকিৎসা প্রযত্নে অমনোযোগিতা অব্যবস্থাপনার বয়ান মিডিয়ায় হয়তো আসছে না কিন্তু যে পেশাগত অনাচার, অসদাচারঅব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন সোচ্চার, যার বলিষ্ঠ বিবেকের কলম ছিল ক্ষুরধার, সেই তিনি নিজেই যেন কাটা পড়লেন তাতে। এটি বেদনাদায়ক তার জন্য নয়, কেননা তিনি এখন এসব অনুভব-অনুভূতির ঊর্ধ্বে। তবে তা আমাদের জন্য বেদনাদায়ক, কেননা করোনাকালে প্রায় একই সময়ে তার খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের যুগপৎ মৃত্যু আমাদের রীতিমতো হতবাক করে দিয়েছে। স্মরণের আবরণে তাদের তিরোধানকেও ঢাকতে, উপেক্ষা করতে আমরা যেন বশংবদ আচরণে নিষ্ঠ হতে চলেছি। গান্ধীবাদী হিসেবে পরিচিত একজন সৈয়দ আবুল মকসুদের মৃত্যু যেন এখন অতিসামান্য সাধারণ ক্ষতির বিষয় ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। আপাদমস্তক একজন সৎ, সৃজনশীল, সংগ্রামী লেখক-গবেষক, মানবাধিকার কর্মী, পরিবেশবিদের জীবনসাধনার সহসা সমাপ্তি এই অকৃতজ্ঞ সময় সমাজের সবার মনোযোগ আকর্ষণের ব্যর্থতাও দুঃখজনক। কেননা তিনি ছিলেন বিরলপ্রজ ব্যক্তিত্ব। তার তিরোধান অপূরণীয় ক্ষতি। 

বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলনের প্রাণপুরুষ সৈয়দ আবুল হুসেন (১৮৯৭-১৯৩৮) সম্পর্কিত বেশকিছু মৌলিক তথ্য ছিল সৈয়দ আবুল মকসুদের সংগ্রহে, তিনি আবুল হুসেন সম্পাদিত মুসলিম হলের হাতের লেখা পত্রিকা পতাকা সংরক্ষণ করেছিলেন এবং তা তার সম্পাদিত সাময়িকী অস্তিত্বর  বসন্ত ১৩৯৩ সংখ্যায় সংকলন করেছিলেন। বাংলা একাডেমির আহ্বানে আবুল হুসেনের জীবনী গ্রন্থ রচনার সময়, প্রায় চার দশক আগে, তার কাছ থেকে সেগুলো সংগ্রহ সূত্রেই সৈয়দ আবুল মকসুদের সঙ্গে আমার পরিচয় ঘনিষ্ঠতা। আধুনিক বাংলা ভাষা সাহিত্যে বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার, বিশ একুশ শতকের প্রেক্ষাপট পর্যালোচনা  এবং সর্বোপরি জলবায়ু পরিবর্তনহেতু প্রাকৃতিক পরিবেশ সামাজিক মূল্যবোধের ওপর প্রভাব ছিল তার নিরলস গবেষণা চর্চার বিষয়। বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রেস উইংয়ে কাজ করার সুবাদে সুফিবাদ, ধ্রুপদী ধর্ম সাহিত্য-সংস্কৃতিচর্চার প্রতি তার আগ্রহ নিষ্ঠার উন্মেষ ঘটে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা’ (প্রথমার প্রকাশনা ২০১৬) শীর্ষক গ্রন্থটি তার একাধারে ইতিহাস, শিক্ষা-গবেষণা বহুমুখী সমাজদর্শন অধ্যয়নের ফসল। ঔপনিবেশিক আমলে অবিভক্ত বাংলার কোন আর্থসামাজিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ঢাকা বিশ্ব্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি ওঠে, সে দাবির সমর্থনে কার কী ভূমিকা এবং এর বিরোধিতা করে শ্রেণীগত অথবা সম্প্রদায়গত স্বার্থ থেকে যেসব তত্পরতা ছিল, তার বস্তুনিষ্ঠ বিবরণ বিশ্লেষণসমৃদ্ধ এই গ্রন্থ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন যে কোর স্মারক গ্রন্থ  প্রকাশনার উদ্যোগ নেয়, সেটির সম্পাদনার দায়িত্ব সৈয়দ আবুল মকসুদের ওপর অর্পিত হয়েছিল। তিনি অত্যন্ত বিচক্ষণতা আন্তরিকতার সঙ্গে প্রকাশনাটিকে একটি প্রতিনিধি স্থানীয় সৃজনশীল কাজ হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। গত সপ্তাহেও স্মারকটির বিভিন্ন লেখা সংগ্রহ পরিস্থিতি নিয়ে তার সঙ্গে আমার আলোচনা হয়েছে। তাই অনেকটা বিনা নোটিসে এভাবে তার চিরতরে চলে যাওয়াকে মেনে নিতে করোনার এই সম্মোহিত সময়ে সত্যিই সম্মোহিত বোধ করছি। মহান আল্লাহর দরবারে তার আত্মার চিরশান্তি মাগফিরাত কামনা করছি। আর তার স্ত্রী সুলতানা মকসুদ, ছেলে সৈয়দ নাসিফ মকসুদ, মেয়ে জিহাদ মকসুদসহ অসংখ্য স্বজন গুণগ্রাহীর প্রতি জানাই সমবেদনা।

সংসদ সদস্য বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি জননেতা রাশেদ খান মেনন (১৯৪৩-) যেমনটি জানিয়েছেন, “সম্প্রতি  তিনি (সৈয়দ আবুল মকসুদ) খুব ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন বইমেলাকে সামনে রেখে প্রকাশনা সংস্থা প্রথমার জন্য মওলানা ভাসানীর ওপর একটা বইয়ের প্রুফ দেখা নিয়ে। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উপলক্ষে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের স্মারক গ্রন্থের পুরো দায়িত্ব ছিল তার। আমার কাছ থেকে একটা লেখাও নিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি যে বিষয় নিয়ে আমার সঙ্গে তার বিশেষ কথা হয়েছিল, তা হলো মওলানা ভাসানী সম্পর্কে রাজনীতিক-বুদ্ধিজীবী, লেখক-গবেষক ইতিহাসবিদদের মধ্যে যে ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে, তা অপনোদনের জন্য যৌথভাবেমওলানা ভাসানীর সত্য-অসত্যনামে একটা বই লেখার। কেবল তা- নয়, ওয়ার্কার্স পার্টির স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর কর্মসূচিতে মওলানা ভাসানীর মৃত্যুদিবসে তার প্রধান আলোচক থাকার কথা হয়েছিল। সেভাবে হলও ঠিক করা হয়েছে। কিন্তু আমার দুর্ভাগ্য যে তার সঙ্গে মিলে সেই বই লেখা যেমন হবে না, তেমনি আমাদের সবার জাতির দুর্ভাগ্য যে স্বাধীনতার সঞ্চালনায় ভাসানীর অনন্য অগ্রগামী ভূমিকা সম্পর্কে তার গবেষণালব্ধ তথ্যাবলি জানা যাবে না। তবে আশার কথা, প্রথমা যদি তার বইটা প্রকাশ করে, তবে অনেক অজানা বিষয় আমরা জানতে পারব এবং মওলানা সম্পর্কে যাদের কথা এরই মধ্যে উল্লেখ করেছি, তাদের নাক উঁচু মনোভাব, তার অবদানকে অস্বীকার করার প্রবণতা কিছুটা হলেও দূর হবে।

মহাত্মা গান্ধীর (১৮৬৯-১৯৪৮) সত্যাগ্রহ আন্দোলনের প্রতি অনুরক্ত, সামাজিক পরিবেশ আন্দোলনের কর্মী সৈয়দ আবুল মকসুদ সুতির সাদা কাপড়কে প্রতিবাদের পোশাক হিসেবে বেছে নেন। ২০০৩ সালের ১৯ মার্চ ইরাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি পশ্চিমা পোশাক ছেড়ে দিয়ে সাদা কাপড়ের বেশ নিয়েছিলেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত টানা ১৮ বছর তিনি সাদা কাপড় পরেছেন। প্রতিবাদের পোশাক হিসেবে বিভিন্ন অনুষ্ঠান আন্দোলনে তিনি এই সাদা কাপড় পরতেন। তিনি তার প্রতিবাদে আমৃত্যু অটল ছিলেন, সেই সাদা কাপড় পরিধান করে তিনি অন্তিম শয়ানে যান। ওই পোশাকের ঔজ্জ্ব্যলের কারণেই তিনি সবার চেয়ে পৃথক হয়ে মানুষের মাঝে বেঁচে থাকবেন।

সৈয়দ আবুল মকসুদ ১৯৪৬ সালের ২৩ অক্টোবর মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলার এলাচিপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা সৈয়দ আবুল মাহমুদ মা সালেহা বেগম। তার কর্মজীবন শুরু হয় ১৯৬৪ সালে এম আনিসুজ্জামান সম্পাদিত এবং তদানীন্তন পাকিস্তান সোস্যালিস্ট পার্টির মুখপত্র সাপ্তাহিক নবযুগ পত্রিকায় সাংবাদিকতার মাধ্যমে। পরে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি সমর্থিত সাপ্তাহিক জনতায় কাজ করেন কিছুদিন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থায় যোগ দেন। তার কলাম লেখার ব্যাপারে আপত্তি করায় তিনি প্রতিবাদে ২০০৮ সালের মার্চ বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার উপবার্তা সম্পাদকের লোভনীয় চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন। তিনি ছিলেন চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক। এছাড়া তিনি সংবাদপত্রে কলাম লিখে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। তিনি দৈনিক প্রথম আলোর একজন নিয়মিত কলামিস্ট ছিলেন। এই দৈনিকেসহজিয়া  কড়চাএবংবাঘা তেঁতুলশিরোনামে তিনি সমাজ, রাজনীতি, সাহিত্য-সংস্কৃতি নিয়ে কলাম লিখতেন। এছাড়া দৈনিক যুগান্তরে বাঙালি মুসলমানের বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা বিষয়ে ধারাবাহিক নিবন্ধ লিখতেন। তিনি সাহিত্যিক হিসেবেও খ্যাতিমান ছিলেন। ১৯৮১ সালে তার কবিতার বইবিকেলবেলাপ্রকাশিত হয়। ১৯৮৭ সালে দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থদারা শিকোহ অন্যান্য কবিতাপ্রকাশিত হয়। তার কবিতার বিষয়-আশয় মানবাধিকার, পরিবেশ, সমাজ প্রেম। তার প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ৪০-এর বেশি। তার প্রবন্ধ গ্রন্থগুলোর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখ্য, যুদ্ধ মানুষের মূর্খতা, বাঙালির সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার, পূর্ববঙ্গে রবীন্দ্রনাথ, রবীন্দ্রনাথের ধর্মতত্ত্ব দর্শন, রবীন্দ্র রাজনীতি, বিশ্বের সেরা দশ দার্শনিক, ঢাকায় বুদ্ধদেব বসু, গোবিন্দ চন্দ্র দাসের ঘর গেরস্তালি, পথিকৃৎ নারীবাদী খায়রুন্নেসা খাতুন, মোতাহের হোসেন চৌধুরী জীবন সাহিত্য, প্রতীচ্য প্রতিভা, কাজী ইমদাদুল হক রচনাবলি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষা, অরণ্য বেতার, বাঙালি জাতি বাঙালি মুসলমান বাঙালি জাতীয়তাবাদ, রাজনীতি ধর্মীয় রাজনীতি প্রভৃতি। জার্মানির জার্নাল পারস্যের পত্রাবলি শিরোনামে তার দুটি ভ্রমণ কাহিনী রয়েছে। তিনি ছিলেন বাংলাদেশে গান্ধী গবেষণার পথিকৃৎ। গান্ধীর ওপর তার দুটি গ্রন্থগান্ধী, নেহরু অ্যান্ড নোয়াখালীএবংগান্ধী ক্যাম্প

সৈয়দ আবুল মকসুদ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১-১৯৪২), বুদ্ধদেব বসু (১৯০৮-১৯৭৪), সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহ (১৯২২-১৯৭১), মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী (১৮৬৯-১৯৪৮), মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী (১৮৮০-১৯৭৬) প্রমুখ প্রখ্যাত সাহিত্যিক রাজনীতিবিদের জীবন কর্ম নিয়ে গবেষণা করেছেন। আব্দুল হামিদ খান ভাসানীকে নিয়ে তার লেখা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর জীবন, কর্মকাণ্ড, রাজনীতি দর্শন (১৯৮৬) ভাসানী কাহিনী (২০১৩)-তে তিনি ভাসানীর বৈচিত্র্যময় ঘটনাবহুল দীর্ঘ জীবন এবং তার রাজনৈতিক দর্শন বর্ণনা করেছেন। তাছাড়া তত্কালীন সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক অর্থনৈতিক দিকগুলো তুলে ধরেছেন। ওয়ালিউল্লাহকে নিয়ে রচিত সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহর জীবন সাহিত্য (২০১১) স্মৃতিতে ওয়ালিউল্লাহ (২০১৪) গ্রন্থদ্বয়ে সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহর জীবন তার সাহিত্যকর্ম নিয়ে গবেষণা ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। সাহিত্যে সামগ্রিক অবদানের জন্য ১৯৯৫ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান তিনি।

লেখক-গবেষক-সাংবাদিক সত্তার বাইরে সৈয়দ আবুল মকসুদের আরেকটি সত্তা সবার কাছে পরিচিত, বিভিন্ন নাগরিক ইস্যুতেও সোচ্চার ছিলেন তিনি। বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা যেমন সড়ক দুর্ঘটনা, নদীদূষণ, পরিবেশ রক্ষা, তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ রক্ষাএমন অসংখ্য বিষয়ে তার অবস্থান ছিল জনমত সৃষ্টির দ্যোতক, প্রতিবাদী। রাজপথে নানা গণমুখী প্রতিবাদ আন্দোলনে সম্পৃক্ত হতেন সৈয়দ আবুল মকসুদ। সুন্দরবন রক্ষা, নদী দূষণবিরোধী আন্দোলনে তিনি সামনের সারিতে থাকতেন। দেশের খনিজ সম্পদ রক্ষার আন্দোলন তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য হিসেবে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিল উপকূল রক্ষার আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। এছাড়া নিরাপদ সড়ক আন্দোলনসহ নানা সামাজিক আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন তিনি। তিনি বাংলাদেশের পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সহসভাপতি ছিলেন। তিনি তার সময় একটি অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক সমতাভিত্তিক বাংলাদেশ দেখতে চেয়েছিলেন।

 

. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ: সরকারের সাবেক সচিব

এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন