যে কারণে জনপ্রিয় ইউটিউবাররা নিজস্ব সাইট নির্মাণে ঝুঁকছে

বণিক বার্তা ডেস্ক

খুবই ব্যয়বহুল কম্পিউটার গেমিং হার্ডওয়্যার কিংবা সবচেয়ে সাশ্রয়ী পিসির রিভিউ করার মাধ্যমে দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছেন লিনাস সেবাস্তিয়ানের ভিডিও। এর মাধ্যমে তিনি ইউটিউবের একজন জনপ্রিয় টেক ব্যক্তিত্ব হিসেবে দাঁড় করিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু যে প্লাটফর্মের মাধ্যমে তিনি জনপ্রিয়তা পেয়েছেন, সেই ইউটিউবই এখন সাতদিন পর সেবাস্তিয়ানের ভিডিও পাচ্ছে। কারণ শুরুতে ফ্লোটপ্লেইন নামে একটি সাইটে লাইনাস টেক টিপসের ভিডিওগুলো আপলোড করা হয়।

গুগল নিয়ন্ত্রণাধীন ইউটিউবের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে লিনাস বলেন, গুগল আমার প্রতি বেশ সদয় ছিল। কিন্তু এক প্লাটফর্মে অধিক চরিত্রের আনাগোনায় খুঁজে পেতে সমস্যা হয়। ডজনখানেক কর্মীর টিম নিয়ে শুধু ইউটিউবের আশায় বসে থাকা তার পক্ষে বেশ কঠিন বৈকি। এজন্যই নিজস্ব সাইট নির্মাণ করেছেন তিনি। শুধু লিনাসই নয় বিকল্প প্লাটফর্ম খুঁজছেন আরো অসংখ্য ইউটিউবার।

কনটেন্ট নির্মাতা এবং প্লাটফর্ম সরবরাহকারী কোম্পানিগুলোর মধ্যে অনেকদিন ধরেই বিজ্ঞাপন থেকে আয়, কপিরাইট সমস্যা এবং দর্শকের কাছে ভিডিও প্রদর্শনসহ বিভিন্ন বিষয়ে টানাপড়েন চলছে।

বিগত কয়েক বছর ধরে লিনাস এবং তার সহযোগী লুক ল্যাফ্রেনিয়ার তাদের নিজস্ব প্লাটফর্ম ফ্লোটপ্লেইনে বিনিয়োগ করছে। তারা জোর দিয়েই বলেন এটা কখনই ইউটিউবের প্রতিযোগী হবে না। তবে তারা ভিডিও নির্মাতাদের অনুগত দর্শক সহযোগে এমন একটি প্লাটফর্ম সরবরাহ করায় আশাবাদী, যারা তাদের পছন্দের ভিডিও নির্মাতাদের সরাসরি সমর্থন করতে মাসে কয়েক ডলার দিতে আগ্রহী হতে পারেন।

দুজনের মতেই এটি ধীরে ধীরে সমৃদ্ধ হচ্ছে এবং তারা সাইটটি হতে অর্জিত সম্পূর্ণ লভ্যাংশই পুনরায় সাইটটির নির্মাণে ব্যবহার করছে।

টুইটার ইউটিউবের কমেন্ট বক্সের মতো পাবলিক প্লাটফর্মের বিব্রতকর বিষয়গুলো হতে ফ্লোটপ্লেইন একেবারেই মুক্ত বলে মনে করেন তারা।

ভিজ্যুয়াল ইফেক্টসের মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সংবলিত ভিডিও নিয়ে কাজ করছে করিডোর ডিজিটাল নামে লসঅ্যাঞ্জেলেসভিত্তিক অপর একটি প্লাটফর্ম। চলচ্চিত্র নির্মাতা স্যাম গোরস্কি নাইকো পুয়েরিঙ্গার সাইটটি নির্মাণের আগে এক দশক ধরে ইউটিউবেই ভিডিও সরবরাহ করে আসছিলেন।

হলিউডের সবচেয়ে সেরা সবচেয়ে বাজে সিনেমার ভিজ্যুয়াল ইফেক্টস স্টান্টগুলো ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের মাধ্যমে ইউটিউবে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে চ্যানেলটি। ইউটিউবে দীর্ঘদিন সক্রিয়তা সত্ত্বেও এখন নিজ সাইট নির্মাণ করতে হয়েছে তাদের। মাসিক ডলার সাবস্ক্রিপশনের মাধ্যমে করিডোর ডিজিটাল থেকে ভিডিও দেখতে পারছে দর্শকরা।

ইউটিউবের অ্যালগরিদম থেকে ভিডিও নির্মাতাদের স্বাধীনতা দেয়ার মাধ্যমে বিকল্প প্লাটফর্ম হয়ে উঠেছে নেবুলা। এর প্রতিষ্ঠাতা ডেভ উইসকুস বলেন, ইউটিউবে ব্যবসা চালু করা যেন কোনো শপিং সেন্টারে নতুন ব্র্যান্ডের একটি দোকান চালু করা। বিভিন্ন অ্যালগরিদমের কারণে আপনি লোকচক্ষুর আড়ালে পড়ে যেতে পারেন।

মাসে ডলারের বিনিময়ে নেবুলায় সাবস্ক্রিপশন পাচ্ছে গ্রাহকরা। এখানে থাকছে না কোনো অ্যালগরিদমের দাপট। কিংবা কোনো কনটেন্টের জন্য নির্মাতাদের কোনো জরিমানাও দেয়া হচ্ছে না।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন