অনাগতের ‘গায়ের রঙ’ নিয়ে উদ্বেগে ছিল ব্রিটিশ রাজপরিবার

বণিক বার্তা অনলাইন

রাজপরিবারে একেরপর এক টানাপোড়েনে শেষ পর্যন্ত এ বছরের শুরুতে রাজপরিবার থেকে বেরিয়ে এসেছেন ব্রিটেনের প্রিন্স হ্যারি এবং তার স্ত্রী মেগান মার্কেল। এবার জনপ্রিয় মার্কিন টেলিভিশন উপস্থাপক অপরাহ উইনফ্রের এক সাক্ষাৎকারে আরো বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ করেছেন মেগান। তিনি বলেছেন, তার সন্তানের জন্মের আগে তিনি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। তার সন্তানকে নিয়ে নিয়ে রাজপরিবারে বিভিন্ন আলোচনা তার কানে আসতো। তারা মেগানের সন্তানকে ভবিষ্যতে ‘নিরাপত্তা’ দেবে না বলে বলাবলি করছিল। এমনকি তার সন্তান জন্মের পর তার গায়ের রঙ কতটা কালো হবে তা নিয়েও উদ্বিগ্ন ছিল রাজ পরিবার। এমন তথ্য শোনার পর বিস্ময় প্রকাশ করেন উইনফ্রে। তবে কারা এমন কথা বলাবলি করছিলেন সে বিষয়টি প্রকাশ করেননি মেগান।

স্থানীয় সময় রবিবার (৭ মার্চ) রাতে মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল সিবিএস-এ তার এই সাক্ষাৎকারটি প্রচার করা হয়। সবুজে ঘেরা একটি বাংলো বাড়ির আঙিনায় ধারণ দুই অংশের সাক্ষাৎকারটিতে প্রথম অংশে মেগান একাই উইনফ্রের সঙ্গে কথা বলেন। দ্বিতীয় অংশে প্রিন্স হ্যারিও তার সঙ্গে যুক্ত হন। এই সাক্ষাৎকারেই তারা দ্বিতীয় সন্তানের লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ করেন। হ্যারি বলেন, তারা একটি কন্যা সন্তানের বাবা-মা হতে যাচ্ছেন।

প্রথম অংশের সাক্ষাৎকারে মেগান আরো বলেন, তার সন্তান আর্চির গায়ের রঙ কালো হওয়ায় তাকে ‘প্রিন্স’ বা ‘রাজপুত্র’ উপাধি দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

৩৯ বছর বয়সী মার্কিন অভিনেত্রী মেগানের মা কৃষ্ণাঙ্গ এবং বাবা ছিলেন শেতাঙ্গ। ২০১৮ সালে ব্রিটিশ প্রিন্স হ্যারির সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ২০১৯ সালের মে মাসে এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন মেগান। তার নাম রাখা হয় আর্চি। বিয়ের পর তিনি রাজপরিবারের সাহায্য সহযোগিতা পাননি এমন অভিযোগ করে জানান, তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে একসময় আত্মহত্যা করার কথাও চিন্তা করতে শুরু করেছিলেন। 

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় বসবাসরত এই দম্পতির আলোচিত এই সাক্ষাৎকারে প্রিন্স হ্যারি বলেন, তিনি (রাজপরিবারের সঙ্গে) বোঝাপড়ার অভাবের কারণেই রাজপরিবার ছেড়েছেন তিনি। এছাড়া ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি নিয়েও দুঃশ্চিন্তায় ছিলেন তিনি। আর এটাও রাজপরিবার ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার আরও একটি কারণ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

‘ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি’ বলতে ১৯৯৭ সালে তার মা ডায়ানার মৃত্যুর বিষয়ে ইঙ্গিত করেন প্রিন্স হ্যারি। তিনি বলেন, তিনি তার দাদী অর্থাৎ রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথকে দোষারোপ করতে চান না। কারণ তিনি রানীকে অনেক সম্মান করেন। যদিও তার বাবা প্রিন্স চার্লস তার (হ্যারি) ফোন রিসিভ করা বন্ধ করে দিয়েছেন।

হ্যারি জানান, রাজপরিবার ছাড়ার পর রানীর সঙ্গে তিনবার কথা হয়েছে তার। আর তার বাবা প্রিন্স চার্লস ফোন রিসিভ করা বন্ধ করার আগে দুবার কথা হয়েছে। হ্যারি বলেন, ‘তখন তিনি (তার বাবা) এসব অভিযোগ আমার কাছে লিখিত আকারে চেয়েছিলেন।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন