যুক্তরাষ্ট্রের ৩০ হাজার সংস্থা চীনের সাইবার হামলার শিকার হয়েছে। হামলার শিকার হওয়া সংস্থাগুলোর মধ্যে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন সংস্থাও রয়েছে।
আক্রমণের খবর জানিয়েছেন নিরাপত্তা গবেষক ব্রায়ান ক্রেবস। তদন্তের বরাতে তিনি জানান, সংক্রমণ-রোগ গবেষণা, আইন, প্রতিরক্ষা ঠিকাদার, উচ্চশিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আক্রান্ত হয়েছে এতে।
প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট সিনেটের প্রতিবেদন বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত ৩০ হাজার প্রতিষ্ঠানে হ্যাকারদের সাইবার আক্রমণের চিহ্ন খুঁজে পাওয়া গেছে। মূলত সিস্টেম থেকে ই-মেইল যোগাযোগের তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে হ্যাকাররা।
মাইক্রোসফট এক্সচেঞ্জ ই-মেইল এবং অন্যান্য যোগাযোগ সফটওয়্যারের জন্য জরুরি নিরাপত্তা আপডেট নিয়ে এসেছিল ২ মার্চ। ২০১৩ সালের সফটওয়্যার সংস্করণ পর্যন্ত নিরাপত্তা ত্রুটি ঠিক করার কথা ছিল প্যাচটির। কিন্তু গ্রাহকরা ধীরগতিতে সিস্টেম আপডেট করতে থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্তত আরো ৩০ হাজার প্রতিষ্ঠান। মূলত হ্যাকাররা হামলা চালিয়েছে মাইক্রোসফট এক্সচেঞ্জ সফটওয়্যারের ত্রুটি আবিষ্কার করে। এরপর হ্যাকাররা ই-মেইলের তথ্য চুরি করে এবং কম্পিউটার সার্ভার ইনফেক্ট করে। ফলে দূর থেকেই নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হয় হ্যাকাররা।
এর আগে মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট জানিয়েছিল, চীনের হ্যাকাররা তাদের মেইল সার্ভারে প্রবেশ করেছিল। তারা মাইক্রোসফটের কম্পিউটার সার্ভারে নিয়ন্ত্রণ নেয়ারও চেষ্টা করেছে।
এ গণহ্যাকিংয়ের বিষয়ে হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জেনিফার সাকি বলেন, এটা একটি সক্রিয় হুমকি। যারা এসব সার্ভার চালাচ্ছে, তাদের এখন এগুলো শক্তিশালী করতে হবে। আমরা এই ভেবে উদ্বিগ্ন যে অনেকেই এ হামলার ভুক্তভোগী হয়েছে।