টালিউড ও বলিউডের জ্যেষ্ঠ অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগমুহূর্তে বাংলা চলচ্চিত্রের ‘ফাটাকেষ্ট’ খ্যাত এ অভিনেতার পদ্মশিবিরে যোগ রাজনীতিতে নতুন চমক।
আজ রবিবার দুপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের সাবেক এই সাংসদকে গলায় উত্তরীয় পরিয়ে দলে স্বাগত জানান পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এই মঞ্চেই কিছুক্ষণ পরে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
মোদির বক্তৃতায় মিঠুন চক্রবর্তীর যোগদান প্রসঙ্গটিও আসে। তিনি বলেন, ‘আজ বাংলার ছেলে মিঠুন চক্রবর্তী রয়েছেন আমাদের সঙ্গে। তার জীবনগাঁথা পরিশ্রম এবং সফলতার অসংখ্য উদাহরণে ভরা। নিজের সফলতার ফলটুকু লোকনাথ বাবার আশির্বাদে তিনি সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছেন।’ এসময় করজোড় করে কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করতে দেখা যায় মিঠুন চক্রবর্তীকে।
বলিউডের ‘ডিস্কো ডান্সার’ বিজেপিতে যোগ দেবেন- বেশ কয়েকমাস ধরে এমন জল্পনা চলছিল। নরেন্দ্র মোদির আজকের জনসভাতেই সেই জল্পনার অবসান হল। ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, আনুষ্ঠানিকভাবে দলে যোগ দিতে মিঠুন চক্রবর্তী মুম্বাই থেকে গতকাল শনিবারই কলকাতায় এসে পৌঁছান। আজ সকালে জনসভাস্থলে হাজির হন ধুতি-পাঞ্জাবি পরে একেবারে বাঙালিবাবুর সাজে। মঞ্চে উঠে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি।
এর আগে ছাত্রবস্থায় নকশালপন্থি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার কথা জানা যায়। পরে সেখান থেকে অভিনয় জীবনে থিতু হলেও আর রাজনীতিতে না ফিরলেও সুভাষ চক্রবর্তী মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে সিপিএমের সঙ্গে ঘনিষ্ট সম্পর্ক ছিল তার। পরে ২০১৪ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে নির্বাচন করে রাজ্যসভার সংসদ সদস্যও হয়েছিলেন মিঠুন। অবশ্য দুবছরের মাথায় ‘সারদা চিট ফান্ড’ কেলেঙ্কারির জেরে পদত্যাগ করেন তিনি। পরে অভিমানে সপরিবারে যুক্তরাষ্ট্রে পারি জমিয়েছিলেন তিনি। পরে আর রাজনীতিতে ফেরা হয়নি তার। এবছরের শুরুর দিক থেকে বিজেপি নেতাদের তার সঙ্গে যোগাযোগে অনেকেই অবশ্য অনুমান করেছিলেন ‘এমএলএ ফাটাকেষ্ট’ এবার ফের রাজনীতিতে ফিরছেন। জল্পনা রয়েছে, জয় পেলে বাংলার ছেলেকেই মুখ্যমন্ত্রীও করার পরিকল্পনা রয়েছে পদ্মশিবিরের।