হাইড্রোজেন ইকোনমির (তেলের পরিবর্তে হাইড্রোজেন ব্যবহার) উন্নয়ন, শিল্প ও প্রযুক্তিগত নীতি প্রণয়নে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) ও দক্ষিণ কোরিয়া মৈত্রী স্থাপন করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের শিল্প ও উন্নত প্রযুক্তিবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং দক্ষিণ কোরিয়ার শিল্প, বাণিজ্য ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় শুক্রবার এ-সংক্রান্ত দুটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। খবর ন্যাশনাল নিউজ।
প্রথম চুক্তির আওতায় দেশ দুটি হাইড্রোজেন বাণিজ্য পরিচালনায় জাতীয় আইন ও নীতিকে সহায়তা করতে সম্মত হয়েছে। বর্তমানে বিশুদ্ধ জ্বালানির চাহিদা বাড়ায় লাভজনক খাত হিসেবে হাইড্রোজেন বাণিজ্য উৎপাদনকারীদের কাছে জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেছে। আবুধাবি জাতীয় তেল কোম্পানি, মুবাদালা বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান, শিল্পপ্রতিষ্ঠান এডিকিউ ও এইচটুকোরিয়ার সমন্বয়ে গঠিত আবুধাবি হাইড্রোজেন জোট এশিয়ার দেশগুলোর সরকারি ও বেসরকারি হাইড্রোজেন জ্বালানি শিল্পের প্রতিনিধিত্ব করছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত ও দক্ষিণ কোরিয়ার এই চুক্তি আবুধাবি হইড্রোজেন জোটের মধ্যে সহযোগিতার পথকে আরো প্রশস্ত করবে।
চুক্তির আওতায় এ দুই দেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো যৌথভাবে হাইড্রোজেন, কার্বনের পুনর্ব্যবহার উপযোগিতা এবং দূষণমুক্ত প্রযুক্তি ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ও পরীক্ষামূলক প্রকল্প পরিচালনা করবে।
অন্যদিকে দ্বিতীয় চুক্তি অনুযায়ী, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও দক্ষিণ কোরিয়া তাদের নিজ নিজ দেশের শিল্প বিকাশে সেরা কৌশল বিনিময় করবে। এর মাধ্যমে দেশ দুটি শিল্প খাতকে উন্নয়ন করতে পারবে বলে আশা করছে। এ চুক্তির মূল খাতগুলো হলো চিকিৎসা প্রযুক্তি, সৌর প্রযুক্তি, কৃষি প্রযুক্তি ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লব।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের শিল্প ও উন্নত প্রযুক্তিমন্ত্রী ড. সুলতান আল জাবের জানান, এ চুক্তিগুলো সংযুক্ত আরব আমিরাতের শিল্প খাতকে শক্তিশালী করবে। পাশাপাশি দেশটির বহুমুখী উন্নয়ন, বৈদেশিক সরাসরি বিনিয়োগে ও বাস্তুসংস্থান উন্নয়ন এবং গবেষণা খাতকে সমৃদ্ধ করবে। প্রযুক্তিগত জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতির ধারায় এগিয়ে যেতে দক্ষিণ কোরিয়াকে আদর্শ অংশীদার বলে মনে করছেন তিনি।
মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকা অঞ্চলে কোরিয়ার সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার সংযুক্ত আরব আমিরাত। গত বেশ কয়েক বছরে এই দুটি অর্থনীতি প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা, সংস্কৃতি, শিক্ষা, নবায়নযোগ্য খাত, পরমাণু জ্বালানি ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য খাতে তাদের বাণিজ্য সম্প্রসারণ করেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার শিল্প বাণিজ্য ও জ্বালানিমন্ত্রী সাং-উন মো বলেন, এ চুক্তি দুটি ভবিষ্যৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও সম্ভাবনাময় উদ্যোগগুলোকে সামনে এগিয়ে নিতে সহায়ক হবে। কোরিয়া স্বল্প-কার্বন প্রযুক্তি ও আইটি খাতকে সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে ইউএইর সঙ্গে বিদ্যমান অংশীদারিত্ব আরো বাড়াতে চায়।