জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব

রোগীর চাপ বাড়ছেই হাসপাতালগুলোয়

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, জয়পুরহাট

মৌসুমি ভাইরাসজনিত কারণে জয়পুরহাটে বেড়ে গেছে ডায়রিয়ার প্রকোপ। আধুনিক জেলা হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোয় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ফেব্রুয়ারিতে প্রায় দুই হাজার ছাড়িয়েছে, যার মধ্যে শতকরা ৮০ ভাগই শিশু। রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় ওয়ার্ডে জায়গা না থাকায় তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে মেঝে হাসপাতালগুলোর বারান্দায়।

এখনো শীতের প্রভাব কাটেনি উত্তরাঞ্চলের জেলা জয়পুরহাটে। শীতজনিত কারণে জেলায় বৃদ্ধি পেয়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ডায়রিয়ার জন্য শুধু জেলা আধুনিক হাসপাতালে আলাদা ২৫ শয্যা থাকলেও গড়ে প্রতিদিন সেখানে ভর্তি হচ্ছে ৬০ জন রোগী। ফলে বেডের সংকুলান না হওয়ায় অধিকাংশ রোগীকে মেঝেতেই নিতে হচ্ছে চিকিৎসা। এমন বিপুল সংখ্যক ডায়রিয়াই আক্রান্ত রোগীকে সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতালের কর্মচারীদের।

নওগাঁর বদলগাছি উপজেলা থেকে সোহেল রানা নামে এক ব্যক্তি তার ভাগিনাকে নিয়ে এসেছেন হাসপাতালে। তিনি জানান, হঠাৎ করে জ্বর-সর্দি কাশি হওয়ার পর পাতলা পায়খানা শুরু হয়। বাড়িতে কোনো সমাধান না হওয়ায় হাসপাতালে আসতে হয়েছে।

জয়পুরহাট সদরের চকশ্যাম গ্রাম থেকে আসা আশা বেগম জানান, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত তার স্বামীকে বাড়িতে রেখে দুদিন চিকিৎসা দেয়ার পর কোনো কাজ না হওয়ায় অবশেষে হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন। এখানেই তিনদিন ধরে চিকিৎসা চলছে তার। শহরের বঙ্গবন্ধু রোডের শিরিন আক্তার জানান, আমার শিশুর পাঁচদিন থেকে জ্বর, পাতলা পায়খানা, বমি হচ্ছে। অ্যান্টিবায়োটিকসহ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েও সে সুস্থ হতে পারেনি।

জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সরদার রাশেদ মোবারক জানান, আবহাওয়াজনিত কারণে ডায়রিয়া সময় বেশি হচ্ছে। তবে চিকিৎসা সেবার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। হাসপাতালে ১৫০ শয্যার হলেও সেখানে রোগী থাকে প্রায় ৩০০ থেকে ৩৫০। ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ২৪টি বেড থাকলেও সেখানে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৩৫ জন ডায়রিয়া রোগী রয়েছে। জনবল কম এবং রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় দায়িত্বরত নার্সদের অনেকটাই হিমশিম খেতে হচ্ছে। এর পরও সাধারণ রোগীদের চিকিৎসার কোনো ঘাটতি নেই।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন