যশোরে এক বছরে বোরো আবাদ বেড়েছে

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, যশোর

যশোর জেলায় চলতি বোরো মৌসুমে গত বছরের তুলনায় প্রায় তিন হাজার হেক্টর বেশি জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। জেলায় চলতি বছরের লক্ষ্যমাত্রাও ছাড়িয়েছে বোরো ধানের আবাদ। বছর লক্ষ্যমাত্রার হাজার ৪৩৫ হেক্টর বেশি জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। আবাদ বেশি হওয়ায় এবার উৎপাদনও বেশি হবে বলে মনে করছে কৃষি বিভাগ।

জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে জেলার লাখ ৫৫ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। এর মধ্যে আবাদ হয়েছে লাখ ৫৭ হাজার ৪৩৫ হেক্টর, যা লক্ষ্যমাত্রার হাজার ৪৩৫ হেক্টর বেশি। ২০১৯-২০ অর্থবছরে বোরো আবাদ হয়েছিল লাখ ৫৪ হাজার ৬১৫ হেক্টর জমিতে। সে হিসাবে গত বছরের চেয়ে হাজার ৮২০ হেক্টর বেশি জমিতে আবাদ হয়েছে।

মৌসুমে বোরো ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে লাখ ৮৭ হাজার টন। আনুমানিক তিন মাস পর জেলার কৃষকরা ৬২টি মেশিন দিয়ে ধান কাটা শুরু করবেন। কৃষি বিভাগের দেয়া এসব মেশিন দিয়ে কৃষকরা নামমাত্র মূল্যে ধান কাটা সম্পন্ন করতে পারবেন।

ঝিকরগাছা উপজেলার মাটিকুমড়া গ্রামের গোলাম মোস্তাফা বলেন, আমি বছর দুই বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করেছি। ধানের ফলন ভালো হয়েছে। তবে আবাদে ব্যয় বেশি হওয়ায় ধান বিক্রি করে তেমন লাভ হয় না। যেহেতু আমাদের অন্য কোনো পেশা নেই, তাই ধান আবাদ করতে হয়।

বাঘারপাড়া উপজেলার ধলগ্রামের আবুল বিশ্বাস বলেন, আমি পাঁচ বিঘা জমিতে বোরো ধানের চাষ করেছি। আশা করছি তিন মাসের মধ্যে ধান কাটতে পারব। আমাদের গ্রামে শ্রমিক সংকট নেই।

মণিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হীরক কুমার সরকার বলেন, এবার ভালো ফলন হয়েছে। আগামী তিন থেকে সাড়ে তিন মাসের মধ্যে কৃষকরা ধান কাটা শুরু করতে পারবেন বলে আশা করছি।

যশোর আঞ্চলিক কৃষি অফিসের উপপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, আমরা ৬২টি ধান কাটা মেশিনের সাহায্যে জেলায় ধান কাটা শুরু করব। আশা করছি তিন মাসের মধ্যে কৃষকরা ফসল ঘরে তুলতে পারবেন। এবারো ফলন ভালো হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন