মঙ্গলে পাঠানো পারসিভিয়ারেন্স রোবটে ১৯৯৮ সালের প্রসেসর!

বণিক বার্তা ডেস্ক

ইন্টেলের প্রসেসর ব্যবহার শুরুর আগে অ্যাপল পাওয়ারপিসি সিরিজের প্রসেসর ব্যবহার করত। প্রসেসর অ্যাপল, মটোরোলা এবং আইবিএমের যৌথ উদ্যোগে তৈরি করা হতো। বিশ শতকের নব্বইয়ের দশকে রঙিন আইম্যাক জি৩সহ বহু ডিভাইসে প্রসেসর ব্যবহার করেছে অ্যাপল।

অ্যাপল ইন্টেলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর বলতে গেলে প্রসেসর বাজার থেকে প্রায় উঠেই গেছে। তবে নিউ সায়েন্টিস ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েক দশকের পুরনো প্রসেসরই ব্যবহার করা হয়েছে নাসার নতুন পারসিভিয়ারেন্স রোভার রোবটে। ফেব্রুয়ারির শেষ নাগাদ রোবটটি মঙ্গলের বুকে অবতরণ করেছে এবং এরই মধ্যে অসাধারণ ডিটেইল ছবি ভিডিও পাঠাতে শুরু করেছে।

একুশ শতকে এমন একটি উচ্চপ্রযুক্তির মিশনে নাসার এমন পুরনো প্রযুক্তির প্রসেসর ব্যবহার অবাক করার ঘটনা বটে! তবে প্রকৃত ঘটনা কিন্তু মোটেও অবাক করার মতো কিছু নয়।

বর্তমানকালের প্রসেসরগুলোর তুলনায় পাওয়ারপিসি ৭৫০ সিপিইউ সে অর্থে কিছুই নয়। সিঙ্গেল কোরের প্রসেসরটির ক্লক স্পিড মাত্র ২৩৩ মেগাহার্টজ। বুড়ো সিপিইউটিই নাসার গভীর বিস্তারিত পরীক্ষা-নিরীক্ষায় উতরে যেতে পেরেছে।

মঙ্গলের বুকে পারসিভিয়ারেন্সের কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে সেটি সরানোর কাজটি নাসার জন্য মোটেও সহজ হবে না। সে কারণেই খুব সতর্কতার সঙ্গে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম বেছে নিতে হয়েছে মহাকাশ গবেষণা কর্তৃপক্ষকে। আর সেখানেই নিজেকে প্রমাণ করতে পেরেছে পাওয়ারপিসি ৭৫০।

অবশ্য একমাত্র নাসাই যে এমন পুরনো প্রযুক্তি ব্যবহার করে এমন নয়। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির যুগে এমন অনেক ডিভাইস সিস্টেম রয়েছে, যেখানে পুরনো প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। কারণ এগুলো অনেক বেশি নিরাপদ নির্ভরযোগ্য।

মঙ্গলে পাঠানো নাসার আগের রোবট কিউরিওসিটিতেও একই সিপিইউ ব্যবহার করা হয়েছে। এতে রয়েছে মাত্র ১০ দশমিক মিলিয়ন ট্রানজিস্টর। যেখানে আজকাল মোটামুটি মানের স্মার্টফোনের সিপিইউতে এর হাজারগুণের বেশি ট্রানজিস্টর থাকে। সূত্র: নিউ সায়েন্টিস্ট

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন