মসলার বাজার ধরার পরিকল্পনা

২০২৫ সাল নাগাদ রফতানি ৫০০ কোটি ডলারে নিতে চায় ভারত

বণিক বার্তা ডেস্ক

মসলাপণ্যের আন্তর্জাতিক বাজার ধরার জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ভারত। এজন্য বিদ্যমান বাজারের পাশাপাশি নতুন নতুন বাজারের সন্ধান করছে দেশটি। এর মূল কারণ হলো খাত থেকে দেশটির রফতানি আয় বাড়ানোর পরিকল্পনা। দেশটির মসলা বোর্ড বলছে, ২০২৫ সাল নাগাদ তারা কেবল মসলা রফতানি থেকে বছরে ৫০০ কোটি ডলার আয় করতে চায়। খবর বিজনেস লাইন।

মসলা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৩০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ মসলা রফতানি করতে সক্ষম হয়েছে ভারত। এরই ধারাবাহিকতায় বোর্ড এবার ২০২৫ ২০৩০ সাল নাগাদ রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এরই অংশ হিসেবে ১০ বছরের মধ্যে খাত থেকে বছরে হাজার কোটি ডলারের সমপরিমাণ মসলা রফতানি করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।

বৈশ্বিক মসলার বাজারে ভারতের মোটামুটি শক্ত অবস্থান রয়েছে। দেশটির মসলার তালিকায় অর্ধশতকের বেশি পণ্য থাকলেও এর মধ্যে কয়েকটি পণ্যই কেবল রফতানি করা হয়। খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, মসলা রফতানির তালিকায় আরো বেশি পণ্য যুক্ত করার যেমন সুযোগ রয়েছে ভারতের তেমনি নতুন নতুন বাজার ধরার মধ্য দিয়েও বৈশ্বিক মসলার বাজারে নিজেদের হিস্যা বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে।

ভারতের মসলা বোর্ডের সচিব ডি সতিয়ান বলেন, বাইরের দেশগুলোতে ভারতীয় দূতাবাসের মাধ্যমে আমরা আমাদের পণ্যের বাজারজাতকরণ বৃদ্ধির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি। এজন্য বোর্ড এরই মধ্যে বেশকিছু কর্মপন্থা ঠিক করেছে। আন্তঃমহাদেশীয় বাজারে আমাদের মসলাপণ্যের হিস্যা বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রচারণাও চালানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

মসলা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ভারতের মসলা পণ্যের রফতানি আয় বাড়ানোর পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য তারা প্রথাগত বাজারের পাশাপাশি নতুন বাজারের সন্ধান করছে। বিশেষ করে লাতিন আমেরিকা, কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলো আফ্রিকান অঞ্চলে বাজার প্রসার করার চেষ্টা করছে বোর্ড।

সম্প্রতি ইন্ডিয়ান মডার্ন সোসাইটি ফর স্পাইসের এক সিম্পোজিয়ামে অংশ নেন মসলা বোর্ডের সচিব ডি সতিয়ান। সেখানে তিনি জানান, দেশের মসলা খাতের উন্নয়নের জন্য তারা ফেডারেল সরকারের সঙ্গে কাজ করছে।

ভারতে বতর্মানে ৫২টি তালিকাভুক্ত মসলা পণ্য রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র কয়েকটি পণ্যের মানোন্নয়ন রফতানি বৃদ্ধির চেষ্টা করা হয়। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রফতানিযোগ্য মসলার তালিকায় আরো বেশিসংখ্যক পণ্য যোগ করার সুযোগ রয়েছে। এসব মসলার মানোন্নয়নের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি যোগ করতে হবে।  স্বাদ, গন্ধ স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ এমন করে প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে এগুলোর মানোন্নয়ন করতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন