সাইবার নিরাপত্তা খাতে বেশ নবীন অ্যাক্সোনিয়াস। যদিও এর মধ্যেই চমক দেখিয়েছে কোম্পানিটি। এ মহামারীর মধ্যে কোম্পানির বাজারমূল্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার। আর সেই সুবাদে কোম্পানিটি বেসরকারি তহবিল সংগ্রহ করেছে ১০০ মিলিয়ন ডলার। গত রোববার অ্যাক্সোনিয়াসের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। খবর রয়টার্স।
বিশ্লেষকরা বলছেন, মহামারীর মধ্যে হোম অফিস বা ঘরে বসে কাজ করার অনুশীলন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সাইবার নিরাপত্তাও বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতেই পোয়াবারো সাইবার নিরাপত্তা কোম্পানিগুলোর। এর মধ্যে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ও বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে অপেক্ষাকৃত নতুন কোম্পানি অ্যাক্সোনিয়াস।
কোম্পানিটি গত বছরই সব মিলিয়ে ১৯৫ মিলিয়ন ডলার তহবিল সংগ্রহের কথা জানিয়েছিল। আর এক বছরেরও কম সময় পর ফের ১০০ মিলিয়ন ডলার বেসরকারি তহবিল সংগ্রহের তথ্য জানাল। সব মিলিয়ে এবারের সংগৃহীত তহবিলের তথ্য এখনো কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়নি।
বৈশ্বিক মহামারীর এ সময়ে সাইবার নিরাপত্তা কোম্পানিগুলোর সেবার চাহিদা যে ব্যাপকভাবে বেড়েছে এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে বিনিয়োগকারীরা এ খাতটিতে দারুণ সম্ভাবনা দেখছেন, তা অ্যাক্সোনিয়াসের এ আর্থিক প্রতিবেদনেই স্পষ্ট।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কভিত্তিক সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান অ্যাক্সোনিয়াসের নিরাপদ নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা ব্যবহারকারীদের ব্যাপক আস্থা অর্জন করতে সমর্থ হয়েছে। কোম্পানিটির এন্ড-টু-এন্ড ডিভাইস ম্যানেজমেন্ট প্লাটফর্মটি এন্টারপ্রাইজ গ্রাহককে তাদের নেটওয়ার্কে যুক্ত কম্পিউটার এবং সিস্টেম ট্র্যাক করতে সহায়তা করে।
মাত্র চার বছর বয়সী কোম্পানিটি গত বছর অবিশ্বাস্য প্রবৃদ্ধির দেখা পেয়েছে। কভিড-১৯ মহামারীতে অফিসের বাইরে থেকে কাজে যুক্ত থাকার নতুন পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে বৃহৎ কোম্পানিগুলো সাইবার নিরাপত্তায় প্রচুর অর্থ ব্যয় করছে। এর সুফলই পেয়েছে অ্যাক্সোনিয়াসের মতো স্মার্ট কোম্পানিগুলো।
অ্যাক্সোনিয়াস জানিয়েছে, গত বছর তাদের ১০ মিলিয়ন ডলার বার্ষিক মুনাফা হয়েছিল, যা ২০১৯ সালের তিন গুণ। এ কোম্পানির রয়েছে শ্নেইডার ইলেকট্রিক, ল্যান্ডমার্ক হেলথ এবং মার্কিন কেন্দ্র সরকারের মতো গ্রাহক।
মহামারীকালে তথাকথিত রিমোট ওয়ার্কিং, ঘন ঘন সাইবার হামলা এবং ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের ক্রমবর্ধমান চাহিদা বিনিয়োগকারীদের সাইবার নিরাপত্তা কোম্পানিতে আগ্রহ তৈরিতে দারুণ ভূমিকা রাখছে। গত বছর এ খাতে তহবিল প্রবাহ রেকর্ড ১১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে। সিবি ইনসাইটের হিসাবে, ২০১৮ সালের তুলনায় এটি প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়েছে।
