মার্কিন প্রণোদনা বিল পাসে বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম

বণিক বার্তা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে বড় অংকের প্রণোদনা বিল পাসের ফলে গতকাল জ্বালানি তেলের দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে গত মাসে চীনের শিল্পোৎপাদনে শ্লথগতির কারণে পণ্যটির দামে বড় মাত্রায় উল্লম্ফনের সম্ভাবনা নেই বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। খবর রয়টার্স।

গতকাল ব্যারেলপ্রতি ডলারের বেশি বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম। মে মাসের সরবরাহ চুক্তিতে অপরিশোধিত ব্রেন্টের দাম দশমিক শতাংশ বা দশমিক ২৪ ডলার বেড়ে ব্যারেলপ্রতি দাঁড়িয়েছে ৬৫ দশমিক ৬৬ ডলারে। গত শুক্রবার এপ্রিলে সরবরাহ চুক্তির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমেডিয়েটে (ডব্লিউটিআই) অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম দশমিক শতাংশ বা দশমিক ১৮ ডলার বেড়ে ব্যারেলপ্রতি দাঁড়িয়েছে ৬২ দশমিক ৬৮ ডলারে।

অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক বৈশ্বিক ট্রেডিং কোম্পানি অ্যাক্সির মুখ্য বৈশ্বিক বাজার কৌশলবিদ স্টিফেন আইনেস জানান, মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে প্রণোদনা বিল পাসের ফলে ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদ হিসেবে বিবেচিত জ্বালানি তেলের দাম চাঙ্গায় সাহায্য করবে।

গত শনিবার দশমিক ট্রিলিয়ন ডলারের প্রণোদনা বিল অনুমোদন করেছে হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ। এতে এশিয়া অন্যান্য অঞ্চলের শেয়ারবাজারে ক্রেতাদের উদ্বেগ কিছুটা প্রশমিত করেছে। বিলটি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে উচ্চকক্ষ সিনেটে পেশ করা হবে। সিনেটে পাস হলে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। এদিকে সপ্তাহান্তে বাইডেন প্রশাসন কর্তৃক জনসন অ্যান্ড জনসনের (জেঅ্যান্ডজে) কভিড-১৯ টিকার অনুমোদনও অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে সাহায্য করবে।

এমন পরিস্থিতিতে এশিয়ার তেল আমদানিকারকদের মিশ্র অবস্থা তৈরি হয়েছে। গত নয় মাসের তুলনায় ফেব্রুয়ারিতে চীনের কারখানাগুলোর কার্যক্রম হ্রাস পেয়েছে। এদিকে গত দুই বছরের তুলনায় জাপানে কারখানাগুলোর উৎপাদন বেড়েছে।

অপরিশোধিত তেলের দাম কমায় দ্বিতীয়ার্ধে চীনে তেলের জোগান বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রাথমিক তথ্য অনুসারে দেখা যায় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ কোরিয়ায় তেলের আমদানি ১৪ দশমিক শতাংশ কমেছে। গত বৃহস্পতিবার শীর্ষ তেল রফতানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেক তার সহযোগী দেশগুলো বাজারে দিনপ্রতি ১৫ লাখ ব্যারেল তেল উত্তোলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সিঙ্গাপুরভিত্তিক ওসিবিসি ব্যাংকের বিশ্লেষকরা বলছেন, বিশ্ববাজারে দিনপ্রতি তেল উত্তোলন যদি লাখ ব্যারেল ছাড়িয়ে না যায় তাহলে তা দাম চাঙ্গায় ভূমিকা রাখবে।

নেদারল্যান্ডসভিত্তিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান আইএনজির বিশ্লেষকরা বলছেন, তেলের সরবরাহ বাড়িয়ে বাজার অস্থিতিশীল করার মতো ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণ থেকে ওপেক প্লাসভুক্ত দেশগুলোর বিরত থাকা কার্যকর সিদ্ধান্ত হবে।

এদিকে গত রোববার যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তিতে ফিরে যাওয়া নিয়ে আলোচনায় অস্বীকৃতি জানিয়েছে ইরান। ওয়াশিংটন কর্তৃক সব ধরনের অবরোধ প্রত্যাহারের পরই কোনো আলোচনা হতে পারে বলে জানায় তারা। ২০১৮ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসেন এবং বিভিন্ন অবরোধ আরোপ করেন। এতে উপসাগরীয় দেশটির জ্বালানি তেল রফতানি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন