আমিরাতে মুক্তবাণিজ্য অঞ্চলে প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ৪.৪%

বণিক বার্তা ডেস্ক

সংযুক্ত আরব আমিরাতে ঘোষিত মুক্তবাণিজ্য অঞ্চলগুলোতে ব্যবসা কার্যক্রম পরিচালনা করা সংস্থার সংখ্যা বেড়েছে। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে গত বছরের একই মাসের তুলনায় হার দশমিক শতাংশ বেড়েছে। সংখ্যার হিসাবে প্রতিষ্ঠানগুলোর সংখ্যা বেড়ে ৬০ হাজার ৬০০টির কাছাকাছি পৌঁছেছে। খবর আরব নিউজ।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের ন্যাশনাল ইকোনমিক রেজিস্টার (এনইআর) অনুসারে, মুক্তবাণিজ্য অঞ্চলে রেজিস্ট্রীকৃত মোট সংস্থার চেয়েও শতাংশ বেশি সংস্থা তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর অধিকাংশই হলো আবুধাবি দুবাইভিত্তিক।

আমিরাতের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা এমিরেটস নিউজ এজেন্সিকে (ডব্লিউএএম) দেয়া এক বক্তব্যে এনইআর বলছে, অগ্রগতি একটি ব্যবসায়িক সফলতা এবং দুর্যোগ মোকাবেলায় অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে সরকারের পরিকল্পনারই প্রতিফলন। সরকার বিদেশী ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোকে উদ্বুদ্ধ করেছে। গত বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে শুরু হওয়া ভাইরাসসৃষ্ট মন্দার পরও সরকার বিশালসংখ্যক ব্যবসায়ীদের মাঝে আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে।

এনইআরের পরিসংখ্যান বলছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৪৪টিরও অধিক মুক্তবাণিজ্য অঞ্চল রয়েছে। সেগুলো বিশেষভাবে বৈদেশিক বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে খুব সহজে স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ, শ্রম অভিবাসন প্রক্রিয়ায় বিনিয়োগ করা। প্রাথমিকভাবেই শতভাগ মালিকানায় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান চালু করা এবং নিয়মানুযায়ী আমিরাত সরকারের অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা থাকবে তাদের জন্য। এসব কারণেই দেশটিতে বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়ছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

তবে বৈদেশিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকানার ক্ষেত্রে সম্প্রতি আইনের পরিবর্তনে মুক্তাঞ্চলগুলোতে ভবিষ্যতের ভূমিকা কেমন হবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

এদিকে তেলের বাজার পতন এবং করোনার কারণে অর্থনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে ব্যবসায়ীদের আকৃষ্ট করতে চাচ্ছে আমিরাত সরকার। লক্ষ্যে গত নভেম্বরে সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়, বৈদেশিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আমিরাতি শেয়ারহোল্ডারের বাধ্যবাধকতা রহিত করা হয়েছে। ঘোষণার মাধ্যমে বৈদেশিক বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উৎসাহ বেড়েছে।

সরকারের উদ্যোগ বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়িয়ে তুলবে। তবে দেশের মধ্যে বিপুলসংখ্যক প্রতিষ্ঠানের মুক্তবাণিজ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে দেশটির নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে।

সরকারের এমন সিদ্ধান্তের বিষয়ে সিড গ্রুপের প্রধান নির্বাহী হাশিম আল গার্গ বলেন, আমি মনে করি আইন মুক্ত অঞ্চলে প্রতিযোগিতায় একটি নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন