আমেরিকার অর্থনীতি এবং নিজের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের ওপর ফের আস্থা রাখতেই বললেন ওয়ারেন বাফেট। গত শনিবার এ কনগ্লুমারেটের শেয়ারহোল্ডারদের প্রতি দেয়া চিঠিতে আগামী দিনের যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি নিয়ে শুধু আশাবাদের কথাই শুনিয়েছেন এ মার্কিন বিলিয়নেয়ার বিনিয়োগকারী। খবর এপি।
গত বছর করোনাভাইরাস মহামারীতে যেখানে বিশ্বের প্রায় সব খাত ভয়ংকররকম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এর পরও বাফেটের চিঠিতে সেই মহামারী নিয়ে তেমন কোনো কথা নেই। বরং তিনি তার বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের রেলরোড, ইউটিলিটি এবং বীমা ব্যবসা ও শেয়ার বাজারে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মহামারী সত্ত্বেও আগামী দিনে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির শনৈ শনৈ উন্নতি হবে।
বাফেট চিঠিতে লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস, মাত্র ২৩২ বছরের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস, সে যা-ই হোক, মানুষের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর এত ভালো সূতিকাগার আর কোথাও নেই। কিন্তু গুরুতর বাধাবিপত্তি সত্ত্বেও আমাদের দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি অসাধারণ!
বিনিয়োগ গুরু ওয়ারেন বাফেটের এ বার্ষিক চিঠি সারা বিশ্বেই অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে পর্যালোচনা করেন বিনিয়োগকারী ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো। কারণটিও বলাই বাহুল্য। ব্যবসায়ের জগতে তার মতো ধারাবাহিক সফলতার রেকর্ড এবং জটিল বিষয়গুলো অতি সাধারণভাবে উপস্থাপনের মুন্সিয়ানা দ্বিতীয় কারোর নেই।
তবে চিঠিতে বাফেট কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় খোলাসা করেননি। যেমন গত কয়েক বছরে বার্কশায়ার কেন বড় ধরনের কোনো অধিগ্রহণে গেল না, সে বিষয়ে যথেষ্ট ব্যাখ্যা দেননি। এছাড়া সাম্প্রতিককালে বড় ধরনের নতুন বিনিয়োগ যেমন, ভেরাইজন কমিউনিকেশন এবং শেভরনে বিনিয়োগের বিষয়ে তেমন আলোচনা করেননি। এ বিষয়টি নিয়ে বিনিয়োগকারীরা কিছুটা অস্বস্তিতে রয়েছেন।
বিষয়টি নিয়ে সিএফআরএ রিসার্চের বিশ্লেষক ক্যাথি সিফার্ট বলেন, এখানে যে বিষয়টি আমার চোখে পড়েছে সেটি হলো, চিঠিতে কিছু বিষয় অনুপস্থিত।