ফতুল্লার ৪ বাল্কহেড শ্রমিক হত্যা মামলা

২ আসামির মৃত্যুদণ্ড ৯ জনের যাবজ্জীবন

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বক্তাবলীতে চার বাল্কহেড শ্রমিককে হাত-পা বেঁধে গলা কেটে হত্যা করা হয়। সে মামলায় দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড নয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

গতকাল দুপুরে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালত এবং বিশেষ ট্রাইব্যুনাল- আদালতের বিচারক মোসাম্মৎ সাবিনা ইয়াসমিন সাত আসামির উপস্থিতিতে আদেশ দেন। এছাড়া যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের প্রত্যেককে নগদ ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো এক বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন বাল্কহেডের দুই ফিডারম্যান (ইঞ্জিনমিস্ত্রি) তাজুল ইসলাম মহিউদ্দিন। মামলায় ১২ আসামির মধ্যে চারজন এখনো পলাতক এবং একজন মারা গেছেন। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন চান মিয়া, দুলাল মিয়া, মজিবর, শফিকুল ইসলাম, আব্দুল মান্নান, আরিফ, জলিল, সাইফুল ইসলাম ইব্রাহিম।

মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান জানান, ২০০৮ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর শাহপরাণ নামের বাল্কহেড সিলেট থেকে পাথর বোঝাই করে মুন্সীগঞ্জের একটি সিমেন্ট কারখানায় যায়। সেখানে পাথর খালাস করে ২১ সেপ্টেম্বর বাল্কহেডটি ফেরার পথে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বক্তাবলী এলাকায় ধলেশ্বরী নদীতে ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে থেমে যায়। পরে বাল্কহেডটি মেরামত করার জন্য এর চালক দুই ফিডারম্যান তাজুল ইসলাম মহিউদ্দিনকে ফোন করে ডেকে আনেন। মেরামত শেষে বাল্কহেডটি সচল হলে দুই ফিডারম্যান সেটি পরীক্ষা করার কথা বলে রাতে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ডাকাতদের যোগসাজশে বক্তাবলীর চরে নিয়ে থামিয়ে দেয়। ওই রাতের কোনো এক সময় দুই ফিডারম্যান সহযোগীদের নিয়ে চালক নাসির মিয়া, কর্মচারী মঙ্গল, ফয়সাল হান্নানকে হাত-পা বেঁধে গলা কেটে হত্যা করে মরদেহ নদীতে ফেলে দেয়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন