গত ২০ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) বিশেষ মশা নিধন অভিযান গতকাল শেষ হয়েছে। ২১ ফেব্রুয়ারি ও শুক্রবার ছাড়া মোট সাতদিন এ বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়। এ সাতদিনের বিশেষ অভিযানে মোট ৪৪ হাজার ৯৬৮টি সড়ক, নর্দমা, জলাশয়, স্থাপনা ইত্যাদি পরিদর্শন করা হয়। এর মধ্যে ২১০টিতে মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ৩০ হাজার ১২৯টিতে মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। মশার লার্ভা ও বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া এবং অন্যান্য অপরাধে ৮৯টি মামলায় মোট ১০ লাখ ৮২ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
ডিএনসিসির উত্তরা অঞ্চলে (অঞ্চল-১) সাতদিনের বিশেষ অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৫ হাজার ৫৭৯টি স্থাপনা পরিদর্শন করে চারটিতে মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়ায় ১০টি মামলায় ১ লাখ ১৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এছাড়া মিরপুর-২ অঞ্চলে (অঞ্চল-২) ৭০৭টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ৪৯টিতে মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়ায় নয়টি মামলায় ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। মহাখালী অঞ্চলে (অঞ্চল-৩) ১৩ হাজার ৪৫০টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ৭৩টিতে মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়ায় এ অঞ্চলে ২৩টি মামলায় ৪ লাখ ১৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। মিরপুর-১০ অঞ্চলে (অঞ্চল-৪) ১ হাজার ৪০২টি স্থাপনা পরিদর্শন করে পাঁচটিতে মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়ায় একটি মামলায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এছাড়া কারওয়ান বাজার অঞ্চলে (অঞ্চল-৫) ১ হাজার ৪১টি স্থাপনা পরিদর্শন করে সাতটিতে মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়ায় দুটি মামলায় ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। হরিরামপুর অঞ্চলে (অঞ্চল-৬) ৮ হাজার ৪৯৯টি স্থাপনা পরিদর্শন করে একটিতে মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়ায় ১২টি মামলায় ৮২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। দক্ষিণখান অঞ্চলে (অঞ্চল-৭) ৫ হাজার ৯১৪টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ১৮টিতে মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়নি। মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ৪ হাজার ২৮৯টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। উত্তরখান অঞ্চলে (অঞ্চল-৮) ৫ হাজার ৬৯১টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ৩০টিতে মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়ায় ২৩টি মামলায় ৪০ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
ভাটারা অঞ্চলে (অঞ্চল-৯) ২ হাজার ৩৮৩টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ২১টিতে মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়ায় নয়টি মামলায় ১ লাখ ১২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। সাতারকুল অঞ্চলে (অঞ্চল-১০) ৩০২টি স্থাপনা পরিদর্শন করে দুটিতে মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়। মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ২৬২টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়।
ডিএনসিসির সর্বত্র নিয়মিত মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।