শেখ কবির হোসেন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ও সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান। তিনি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান এবং সিডিবিএল ও ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও বাংলাদেশ মানবাধিকার কাউন্সিলের সাবেক চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের সদস্য এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মেম্বার অব গভর্নরস। বীমা দিবস উপলক্ষে বণিক বার্তার সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এম এম মুসা
বাংলাদেশে দ্বিতীয়বারের মতো বীমা
দিবস পালিত
হতে যাচ্ছে। এবারের বীমা
দিবসের থিম
হচ্ছে ‘মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার বীমা
হোক সবার’। কভিডের মধ্যেই পালিত হচ্ছে
এবারের বীমা
দিবস। কভিডের মধ্যে এবারের বীমা দিবস
পালন কেমন
হবে বলে
মনে করছেন?
জাতীয়
বীমা দিবসের
কথা বলতে
গেলে প্রথমেই
একটি প্রসঙ্গ
চলে আসে,
তা হলো
১ মার্চে
আমরা কেন
দিবসটি পালন
করছি? সেটিই
আগে বলা
উচিত। বিষয়টি
হলো জাতির
জনক বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর
রহমান এই
দিনে বীমা
শিল্পের সঙ্গে
যুক্ত হয়েছিলেন।
১৯৬১ সালে
আলফা ইন্স্যুরেন্সের
মাধ্যমে। তৎকালীন
পূর্ব বাংলা
তথা ইস্ট
পাকিস্তানের দায়িত্বে
ছিলেন তিনি।
বীমা পেশায়
বঙ্গবন্ধুর যুক্ত
হওয়ার কারণ
ছিল ১৯৫৮
সালে মার্শাল
লর ফলে
রাজনৈতিক সব
কার্যক্রম বন্ধ
ছিল। বঙ্গবন্ধুর
ওপর সরকার
ও গোয়েন্দা
চাপ ছিল
বেশি। আলফা
ইন্স্যুরেন্সে যোগদানের
মাধ্যমে তিনি
সবার চোখের
আড়াল দিয়ে
তার কার্যক্রম
চালিয়ে যান।
বীমা শিল্পের
সঙ্গে যুক্ত
থেকেই তিনি
মানুষকে স্বাধীনতায়
উদ্বুদ্ধ করেছিলেন।
সেদিক থেকে
বঙ্গবন্ধু, বীমা
ও স্বাধীনতা
ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
অন্য কোনো
সেক্টর স্বাধীনতা
সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর
সঙ্গে সম্পৃক্ত
না।
গত
বছরও এই
দিনেই মেলা
পালন করা
হয়েছিল। কারণ
তখন করোনা
ছিল না।
প্রধানমন্ত্রী সেখানে
প্রধান অতিথি
ছিলেন। তিনি
ঘুরে ঘুরে
মেলা পরিদর্শন
করেন। কিন্তু
এ বছর
করোনার কারণে
আমরা ভার্চুয়ালি
এটা পালন
করছি। আমরা
অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ
থেকে সহযোগিতায়
আছি। দিবসটি
পালনের মাধ্যমে
মানুষের মধ্যে
বীমা সচেতনতা
বাড়বে। আর
বীমা মেলায়
অনেকেই বিশেষ
ছাড়ে বীমা
করতে পারেন।
আগামী ২৬
মার্চে আমাদের স্বাধীনতার ৫০
বছর পূর্তি হতে যাচ্ছে। এ ৫০
বছরে বীমা
শিল্পে যতটুকু অগ্রগতি হওয়ার
কথা ছিল
ততটুকু হয়নি।
এর কারণ
কী হতে
পারে বলে
আপনি মনে
করছেন?
দেশ
স্বাধীন হলে
বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের
কারাগার থেকে
ফেরার পর
তিনি অল্প
সময়ই ছিলেন।
অনেক কাজ
করার পরও
বীমা শিল্পের
গুরুত্ব অনুধাবন
করতে পেরেছিলেন
তিনি। এজন্য
তিনি বীমা
শিল্পকে সংস্কার
করেছিলেন। জীবন
বীমা, সাধারণ
বীমা তৈরি
করেছিলেন। দক্ষ
জনবলের জন্য
একাডেমি তৈরি
করেছিলেন। কিন্তু
তার মৃত্যুর
পর বঙ্গবন্ধু
কন্যা শেখ
হাসিনা ক্ষমতায়
আসার আগ
পর্যন্ত খাতটি
উপেক্ষিত ছিল।
একটি সেক্টর
যদি ১০-১২
বছর অবহেলিত
থাকে তবে
সে সেক্টরের
উন্নয়ন করা
কিন্তু মুশকিল।
পরে প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা
এসে ২০১০
সালে বীমা
অ্যাক্ট করলেন।
তার আগে
সরকারের কোনো
দায়িত্ববান ব্যক্তি
বীমা সেক্টরের
কোনো অনুষ্ঠানেও
আসেননি। ২০১১
সালে বীমা
অথরিটি গঠন
করা হয়।
তার পর
থেকে ১০
বছর পূর্ণ
হয়েছে। এর
মধ্যে বেশকিছু
অগ্রগতি হয়েছে।
যতটুকু হয়েছে
তা অনেক
হয়েছে। আমি
মনে করি
আরো সময়
লাগবে। কারণ
৩০ বছরের
আবর্জনা এত
তাড়াতাড়ি সরানো
সম্ভব হবে
না।
বীমা পণ্যে
বৈচিত্র্য, নতুনত্ব ও প্রচারণা নেই কেন?
অবশ্যই
আমি মনে
করি, এখন
বীমার ক্ষেত্র
ও পরিসর
আরো বাড়ানো
উচিত। বিভিন্ন
সাধারণ ও
ইভেন্টভিত্তিক প্রচারণায়
জোর দেয়া
উচিত কোম্পানিগুলোকে।
এজন্য কোম্পানিগুলোকে
নতুন নতুন
বীমা পণ্য
বাজারে আনতে
হবে। তবে
তাদের এ
বিষয়ে কিছুটা
ঝুঁকি থেকেই
যায়, যা
সরকারি ভূমিকায়
নিরসন করা
সম্ভব। এছাড়া
দেশে শস্য
বীমা চালু
করা যেতে
পারে। বিদেশে
চাকরি নিয়ে
গমনেচ্ছু বাংলাদেশী
নাগরিকদের বীমা
পলিসির অধীনে
আনা দরকার।
এক্ষেত্রে সরকার,
সাধারণ বীমা
কোম্পানি, নিয়ন্ত্রক
সংস্থা, বিশ্বব্যাংক,
এডিবিকে একসঙ্গে
কাজ করতে
হবে। সরকার
আদেশ দিয়ে
নতুন নতুন
বীমা পণ্য
বাজারে আনতে
সাহায্য করতে
পারে বলে
আমি মনে
করি।
রাষ্ট্রীয় বৃহৎ
স্থাপনাগুলো কি
বীমার আওতায়?
সরকারি
গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা
ও বৃহৎ
ভৌত অবকাঠামো
বীমা পলিসির
অধীনে আনা
উচিত। এগুলো
যদি বীমা
পলিসির অধীনে
থাকে, তবে
সরকারেরই ঝুঁকি
কমে। আমি
জানি না,
দেশের আইন
প্রণয়নের সূতিকাগার
জাতীয় সংসদ
ভবনের কোনো
বীমা আছে
কিনা। জানা
নেই, ফ্লাইওভারসহ
নির্মিত যমুনা
সেতু কিংবা
নির্মিতব্য পদ্মা
সেতুর কোনো
বীমা আছে
কিনা। তবে
এসব বৃহৎ
স্থাপনা অবশ্যই
বীমার আওতায়
আসা উচিত।
বীমা কোম্পানিগুলো
দেশের অবকাঠামো
উন্নয়নে অংশ
নিতে চায়,
চায় বিনিয়োগ
করতে।
দেশের বীমা
শিল্পে এখন
পর্যন্ত সম্ভাবনাময় কী ধরনের
অগ্রগতি হয়েছে
বলে আপনি
মনে করেন?
এর
মধ্যে বেশকিছু
অগ্রগতির কথা
উল্লেখ করা
যায়। বীমা
সেক্টরে এখন
যে উন্নতি
হয়েছে এটার
ফল আগামীতে
আমাদের সরকার
পাবে, মানুষ
এর সুফল
পাবে। যদিও
এখন বলা
হচ্ছে যে
জিডিপিতে আমাদের
বীমা খাতের
অবদান পার্শ্ববর্তী
দেশের চেয়েও
তুলনামূলক অনেক
কম। আমার
মনে হয়
বর্তমান উদ্যোগের
ফলে এটা
বেড়ে পার্শ্ববর্তী
দেশকে অতিক্রম
করে যাবে।
কারণ প্রধানমন্ত্রী
এটার প্রতি
বিশেষ নজর
দিয়েছেন।
একই
সময়ে বর্তমান
বীমা কর্তৃপক্ষ
বেশকিছু পদক্ষেপ
নিয়েছে, যার
সুফল আমরা
ঘরে তুলতে
পারব এর
মধ্যে উল্লেখযোগ্য
হলো এখন
থেকে ‘নন-লাইফ
কমিশন’ জিরো
করা হয়েছে।
প্রিমিয়াম আহরণের
ক্ষেত্রে আর
কোনো কমিশন
থাকছে না।
অর্থাৎ ডেস্ক
অফিসার কিংবা
ডেভেলপমেন্ট অফিসার
দিয়ে এটা
আহরণ করা
হবে। ফলে
নন-লাইফে
যে অগ্নিকাণ্ড
হতো সেটা
অনেক লোপ
পেয়েছে। এটা
ভালো লক্ষণ।
আবার লাইফ
ইন্স্যুরেন্সে ল্যাপস
হতো। অর্থাৎ
ইন্স্যুরেন্স ল্যাপস
করা হতো।
এতে গ্রহীতাদের
দুর্ভোগের অন্ত
ছিল না,
তারা প্রতারিত
হতেন। তবে
আইডিআরএ যে
উদ্যোগ নিয়েছে
এতে কোনো
বীমা ‘ল্যাপস’
হবে না।
এছাড়া কিছু
নতুন প্রডাক্ট
সংযোজন করা
হয়েছে, যা
বীমা শিল্পকে
এগিয়ে নেবে।
বীমা শিল্পের অগ্রগতির জন্য
কোন দিকটিতে আরো নজর
দেয়া প্রয়োজন বলে আপনি
মনে করেন?
বীমার
জন্য এখন
সবচেয়ে বড়
বিষয়টি হলো
এর একাডেমিকে
আরো ডেভেলপ
করতে হবে।
এটাকে যদি
ডেভেলপ করা
না হয়,
যুগোপযোগী করা
না হয়
তাহলে দক্ষ
জনবল তৈরি
করা যাবে
না। আর
আমি মনে
করি, দক্ষ
জনবল সৃষ্টি
না হলে
এ সেক্টরের
উন্নতি করা
খুবই দুঃসাধ্য
ব্যাপার হয়ে
দাঁড়াবে। কারণ
নতুন প্রডাক্ট
আসতে হলে
দক্ষ জনবল
দরকার, আবার
কোম্পানিকে ঠিকমতো
চালাতে হলেও
দক্ষ জনবল
দরকার।
বিদ্যমান ব্যবস্থার কোনোটির সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে
কী?
সাধারণ
বীমার মধ্যে
রি-ইন্স্যুরেন্স
রয়ে গেছে,
এটাকে সম্পূর্ণ
একটি রি-ইন্স্যুরেন্স
কোম্পানি বা
করপোরেশনে রূপদান
করা দরকার।
সেটাকে যুগোপযোগী
করা প্রয়োজন।
কারণ বড়
বড় কোম্পানির
অনেকেই এখন
বাইরের দেশ
থেকে রি-ইন্স্যুরেন্স
করে, তারা
বাইরে থেকে
রেট আনে।
এর মাধ্যমে
সরকার ভ্যাট/কর
থেকে বঞ্চিত
হচ্ছে। এই
রি-ইন্স্যুরেন্সটাকে
আরো শক্তিশালী
করতে হবে।
সেটা সরকার
যেভাবে ইচ্ছে
করতে পারে।
তারা চাইলে
প্রাইভেট সেক্টরের
মাধ্যমেও সেটা
করতে পারে।
এতে প্রতিযোগিতার
মাধ্যমে তা
আরো উন্নত
হবে। এমন
কিছু সংস্কারের
দরকার আছে।
তাছাড়া
আইডিআরএ ১০
বছর পার
হয়েছে, কিন্তু
সেখানে কোনো
রেগুলার স্টাফ
বলতে গেলে
নেই। তারা
অস্থায়ী ভিত্তিতে
কাজ করছেন।
ফলে প্রতিষ্ঠানের
প্রতি তাদের
‘ইন্টারেস্ট
গ্রো’ করছে
না। তারা
মনে করেন,
আমরা তো
অনিশ্চয়তার মধ্যে
আছি। কাজেই
তাদের কাজে
মনটা থাকে
না। তাদের
স্থায়ী করা
কিংবা কীভাবে
এর সমাধান
করা যায়
সেটা আইডিআরএকে
দেখতে হবে।
একাডেমিতেও
ও রকম
বাইরে থেকে
একজন সরকারি
অফিসার ডিরেক্টর
হিসেবে আসেন।
তিনি হয়তো
ছয় মাস
বা এক
বছর থাকেন,
তারপর চলে
যান। এটাকে
মডার্ন ওয়েতে
এবং যুগোপযোগীভাবে
সমাধান করতে
হবে বলে
আমি মনে
করি।
এছাড়া
মেগা প্রজেক্টের
ইন্স্যুরেন্স/রি-ইন্স্যুরেন্স
করা হয়
দেশের বাইরে।
আমরা বলেছি,
সব মেগা
প্রজেক্টের ইন্স্যুরেন্স/রি-ইন্স্যুরেন্স
করতে হবে
বাংলাদেশ থেকে।
এটা না
করায় সরকার
একদিকে যেমন
‘ফরেন
কারেন্সি’ হারাচ্ছে
অন্যদিকে রাজস্ব
আয় থেকে
বঞ্চিত হচ্ছে।
এসবের সংস্কার
করলে সেক্টরটি
আরো উন্নত
হবে। তখন
দেশের অর্থনীতি
আরো শক্তিশালী
হবে।
প্রায়ই একটা
প্রশ্ন শোনা
যায় যে
বাংলাদেশের পরিস্থিতিতে এত বীমা
কর্মকাণ্ডের দরকার
আছে কিনা?
আপনি কী
মনে করেন?
বীমা
খাতেও একটা
প্রতিযোগিতা থাকা
ভালো। সরকার
তাদের অনুমোদন
দিয়েছে, এখন
সরকারই জানে
যে এটা
ঠিক হচ্ছে
কিনা? তবে
আমার মনে
হয় আমরা
যারা আছি
তারা এখনো
ভালোমতো বীমাটা
করছি না।
মানুষকে এজন্য
উদ্বুদ্ধ করতে
পারছি না।
তাদের উদ্বুদ্ধ
করতে হবে।
দেশে যে
বীমা কোম্পানির
সংখ্যা বেশি
হয়ে গেছে
সেটা আমরা
বলতে পারি
না। যদি
দেখতাম যে
দেশে বীমা
করার জায়গা
নেই, তবে
মনে করতাম
যে কোম্পানী
বেশি হয়ে
গেছে।
বীমা খাতের
সেবার মানকে
যদি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে
যেতে হয়
তাহলে করণীয়
কী?
সেবার
মান উন্নত
করতে হবে।
বিশেষ করে
জীবন বীমা,
এর সেবাটা
ঠিকমতো দিলে
মানুষ খুশি
হয়। এই
বীমাটা একদিকে
যেমন মানুষের
জীবন রক্ষা
করে, অন্যদিকে
তার সম্পদকেও
সুরক্ষিত করে।
অনেক বীমা
কোম্পানি চারদিনের
মধ্যেই গ্রহীতার
মৃত্যু দাবি
পরিশোধ করছে।
এছাড়া আইডিআরএ
মাসে দুবার
বীমা দাবি
পূরণ করার
জন্য দিন
ধার্য করেছে।
বঙ্গবন্ধুর জন্মবার,
অর্থাৎ মাসের
প্রথম ও
শেষ বুধবার
এ দাবি
নিয়ে এলে
তাকে পরিশোধ
করতে হবে।
বর্তমানে এটাই
হলো বড়
সেবা।
বীমা
দাবির টাকা
কোনো এজেন্টের
মাধ্যমে না
দিয়ে সরাসরি
গ্রহীতার কাছে
পৌঁছানো হচ্ছে।
অ্যাকাউন্ট ল্যাপস
হওয়ার আশঙ্কা
এখন আর
নেই। আর
পেমেন্ট যেন
সঙ্গে সঙ্গে
পাওয়া যায়,
কোনো রকম
হয়রানি হতে
যেন না
হয়, কোনো
গ্রহীতা যেন
বঞ্চিত না
হন, ম্যানেজমেন্ট
ও বোর্ডকে
সে বিষয়গুলো
দেখতে হবে।
মূলত সেবার
মান বাড়ালেই
বীমার জন্য
মানুষ এগিয়ে
আসবে। এর
ক্ষেত্র আরো
প্রসার হবে।
আমরা দেখেছি করোনা অন্যান্য খাতের ওপর
প্রভাব ফেলেছে। বীমা খাতে
এর প্রভাব কেমন ছিল?
অনলাইনে
অনেক কোম্পানি
বীমা চালু
করেছে। এতে
তাদের কাজ
করার সুবিধা
হয়েছে। কমিশন-সংক্রান্ত
সমস্যাগুলো সমাধান
হয়েছে। যার
জন্য করোনায়
অন্য খাতগুলো
ক্ষতিগ্রস্ত হলেও
আমরা তদ্রূপ
ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।
উন্নত বিশ্বে সবার জন্য
বীমা করা
বাধ্যতামূলক, বাংলাদেশেও বীমা করার
ব্যাপারে অনেক
আইন থাকলেও তার বাস্তবায়ন নেই, সেটা
কেন হচ্ছে?
এক্ষেত্রে কী
করা উচিত?
আইন
বাস্তবায়নের জন্য
যেসব এজেন্সি
(বিআরটিএ, পুলিশ
বিভাগ) আছে
তাদের অ্যাক্টিভ
হতে হবে।
আর আমাদের
বীমা সেবাটাকে
বাড়াতে হবে।
এ দুটো
বিষয় এক্ষেত্রে
খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এর বাস্তবায়ন
ঠিকমতো হলে
বীমার গ্রহণযোগ্যতা
বাড়বে বলে
আমি মনে
করি।
ভবিষ্যতে দেশের
বীমা খাতকে
আপনি কোথায়
দেখতে চান?
বীমা
শিল্পের ভবিষ্যৎ
অনেক ভালো
বলেই আমি
মনে করছি।
যদি উদ্যোগ
ও প্রস্তাবিত
সংস্কারগুলোর বাস্তবায়ন
করা হয়
তাহলে বাংলাদেশের
জিডিপিতে ৫-৭
শতাংশ অবদান
রাখতে পারবে
দেশের বীমা
খাত। এতে
কোনো সন্দেহ
নেই। কিন্তু
যথাযথভাবে যদি
এর সবগুলো
করা হয়
তাহলে এ
সম্ভাবনাটা অনেক
বেশি। বলা
হয়, যে
দেশের বীমা
খাত যত
শক্তিশালী, সে
দেশের অর্থনীতিতে
তত শক্তিশালী।
সে দেশের
জনগণ তত
নিরাপদ। তাদের
জীবনও নিরাপদ
এবং দেশের
সম্পদও নিরাপদ।
হয়তো একটু
সময় লাগবে।
কিন্তু আমি
মনে করি,
সেদিন আর
বেশি দূরে
নয়।
শ্রুতলিখন: মো. ইসমাঈল হোসাইন