শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছেলে শিক্ষার্থী কমে যাচ্ছে, নজর দেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সুবিধাবঞ্চিত অংশগ্রহণ বাড়াতে ছাত্র-ছাত্রী উভয়ের জন্য বর্ধিত হারে উপবৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে, ফলে লিঙ্গ সমতা অর্জন করায় বাংলাদেশ বিশ্বে প্রশংসা অর্জন করেছে বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছেলে শিক্ষার্থী কমে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেছেন, ‘অনেক জায়গায় মেয়েদের সংখ্যা বেশি। ছেলেদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। সেটা যেন না হয়, সেদিকে একটু নজর দেবেন। কারণ আমাদের জেন্ডার সমতাটা একটু অন্য হয়ে যাচ্ছে। ছেলেরা কেন কমে যাচ্ছে সেটা মনে হয় দেখা দরকার।’ সে বিষয়টা সবাইকে নজরে নেয়ার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।

আজ রবিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট থেকে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপবৃত্তি, টিউশন ফি, ভর্তি সহায়তা ও চিকিৎসা অনুদান বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন।

অনলাইন মাধ্যমে ২০২০-২১ অর্থবছরে স্নাতক পর্যায়ে উপবৃত্তি, ভর্তি ও চিকিৎসা অনুদান হিসেবে ৮৭ কোটি ৫২ লাখ ৫৫ হাজার ৪০০ টাকা প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এসময় শিক্ষার উন্নয়ন ও প্রসারে সরকারের নানা উদ্যোগের চিত্র তুলে ধরে এ ক্ষেত্রে বিত্তবানদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা শিক্ষাসহায়তা ট্রাস্টের মাধ্যমে সারাদেশের লাখ লাখ শিক্ষার্থীদের শিক্ষাসহায়তা দিয়ে যাচ্ছি। আমরা শিক্ষিত ও দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর। এ ক্ষেত্রে বিত্তশালীরাও এগিয়ে আসবেন। আমাদের শিক্ষাসহায়তা ট্রাস্ট ফান্ডে সহায়তা করবেন বা নিজ নিজ এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সহায়তা করবেন। নিজে যে প্রতিষ্ঠান থেকে পড়াশোনা করেছেন, সেটার উন্নয়নে ও সেখানকার শিক্ষার্থীদের সহায়তায় এগিয়ে আসলেই তো হয়।’

প্রধানমন্ত্রী কার্যক্রমের উদ্বোধন ঘোষণা করে বলেন, ‘এক কোটি ৬৩ লাখ ৮০০ শিক্ষার্থীর মাঝে ৮৭ কোটি ৫২ লাখ টাকার শিক্ষা সহায়তা প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন ঘোষণা করছি। ২০১০ থেকে ২০২১ পর্যন্ত ৩৬৬ কোটি বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। করোনার মধ্যে এ বছরও এটি বন্ধ হয়নি। এজন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানাই।’

তিনি বলেন, ‘আমরা ৩০ মার্চের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়ারও ব্যবস্থা করছি। আমরা শিক্ষিত ও দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে বদ্ধ পরিকর।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘২০০৯ সালে সরকার গঠন করে এই ট্রাস্ট গঠনের উদ্যোগ নিয়েছিলাম। ২০১২ সালে এটি প্রতিষ্ঠা করি। এর মাধ্যমে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে উপবৃত্তি, টিউশন ফি, ভর্তি সহায়তা ও চিকিৎসা অনুদান দেয়া হচ্ছে। উচ্চশিক্ষায় ফেলোশিপ দেয়া হচ্ছে।’


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন