মৎস্য সম্পদ সুরক্ষায় একমত উত্তর প্যাসিফিকের দেশগুলো

বণিক বার্তা ডেস্ক

মৎস্য সম্পদ সুরক্ষায় স্যুরি মাছ আহরণ কমাতে সম্মত হয়েছে জাপান, চীনসহ নর্থ প্যাসিফিক ফিশারিজ কমিশনের আট সদস্য রাষ্ট্র। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশগুলো বছরে ৪০ শতাংশ কমিয়ে লাখ ৩৩ হাজার ৭৫০ টন স্যুরি মাছ আহরণ করবে। আগের চেয়ে কম মাছ আহরণের সিদ্ধান্ত ২০২২ সালের শেষ নাগাদ বলবৎ থাকবে। মূলত গভীর সমুদ্রে চীন তাইওয়ানের মাত্রাতিরিক্ত মাছ শিকার রোধে এমন প্রস্তাব উত্থাপন করে জাপান। খবর কিয়োডো নিউজ।

বর্তমানে আটটি দেশের জন্য মোট মাছ আহরণের সীমা নির্ধারণ করা আছে লাখ ৫৬ হাজার ২৫০ টন। এর মধ্যে লাখ ৩০ হাজার টন গভীর সমুদ্রে এবং লাখ ২৬ হাজার ২৫০ টন জাপান রাশিয়ার বিশেষ অর্থনৈতিক সমুদ্রসীমায় আহরণ করা হয়। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গভীর সমুদ্রে লাখ ৯৮ হাজার টন এবং জাপান রাশিয়ার বিশেষ অর্থনৈতিক সমুদ্রসীমায় লাখ ৩৫ হাজার ৭৫০ টন মাছ আহরণ করবে।

মূলত জাপানের সমুদ্রসীমায় পৌঁছানোর আগেই চীন তাইওয়ানের গভীর সমুদ্র থেকে স্যুরি মাছ আহরণের ঝুঁকি কমাতেই টোকিও এমন প্রস্তাব পাস করায়। জাপানের প্রতিনিধি সিংগো ওটা বলেন, এটি গভীর সাগরে স্যুরি মাছ আহরণ কমাতে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ।

জাপানের জাতীয় স্যুরি ফিশারিজ কোঅপারেটিভের তথ্যমতে, ২০২০ সালে জাপানের স্যুরি মাছের প্রাপ্যতা বিগত বছরের তুলনায় ২৭ শতাংশ কমে ২৯ হাজার ৫৬৬ টনে নেমে এসেছে। বিগত বছরে সংস্থাটির অন্য সাতটি দেশ কানাডা, চীন, রাশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, যুক্তরাষ্ট্র ভানুয়াতোতেও স্যুরি মাছের প্রাপ্যতা কমেছে।

জাপানের ফিশারিজ এজেন্সির তথ্য অনুসারে, ২০১৯ সালে কানাডা যুক্তরাষ্ট্র ব্যতীত অন্য দেশগুলোর সম্মিলিত আহরণ গত বছরের তুলনায় ৬০ শতাংশ হ্রাস পেয়ে লাখ ৯১ হাজার টনে পৌঁছেছে। এটা নতুন আহরণ সিদ্ধান্তের চেয়ে অনেক কম। ফলে নতুন সিদ্ধান্ত স্যুরি মাছের অতিরিক্ত আহরণ কমাতে এবং ভবিষ্যতে মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। অঞ্চলভিত্তিক কোটার মতো করে জাপান প্রতিটি দেশভিত্তিক কোটা নির্ধারণেরও প্রস্তাব করেছিল। তবে অন্য দেশগুলোর অসম্মতির কারণে সেটি পাস হয়নি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন