রেকর্ড লোকসানে ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনস গ্রুপ

বণিক বার্তা ডেস্ক

ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের মালিক ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনস গ্রুপ (আইএজি) রেকর্ড পরিমাণ লোকসানের মুখোমুখি হয়েছে। করোনা মহামারীর ধাক্কায় আন্তর্জাতিক সীমান্ত বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক লোকসানের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬৯০ কোটি ইউরো। তবে রেকর্ড পরিমাণ লোকসানের পরও সম্প্রতি আইএজির শেয়ারের দাম বাড়তে শুরু করেছে। খবর এএফপি।

স্পেনের এয়ারলাইনস আইবেরিয়া আয়ারল্যান্ডের আয়ার লিঙ্গাসেরও মালিক আইএজি। সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০১৯ সালে তাদের নিট মুনাফা ছিল ১৭০ কোটি ডলার। তবে গত বছর সমপরিমাণ কর পরিশোধ করায় তাদের বড় ধরনের লোকসানে পড়তে হয়েছে। ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকায় উড়োজাহাজের যাত্রী সংখ্যা বড় আকারে হ্রাস পেয়েছে। এতে ২০২০ সালে আয় ৭০ শতাংশ কমে ৭৮০ কোটি ইউরোতে দাঁড়িয়েছে।

আইএজি বলছে, ইংল্যান্ডের লকডাউন অবস্থা শিথিল করতে লন্ডন চার মাসের একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এছাড়া সম্প্রতি সংস্থাটির শেয়ারও ফিরে এসেছে। পাশাপাশি উড়োজাহাজের টিকিট বুকিংয়ের পরিমাণ বেড়েছে। ফলে চলতি বছর ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া যাবে বলে আশা করছে সংস্থাটি।

সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী লুইস গ্যালিও বলেন, নভেল করোনাভাইরাস মহামারী আমাদের ব্যবসায় গুরুতর প্রভাব ফেলেছে। লোকসানের মুখে পড়ায় আইএজি ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের ১০ হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করেছে। এটি সংস্থাটির জনশক্তির এক-চতুর্থাংশ। পাশাপাশি আয়ার লিঙ্গাসের ৫০০টি পদ খালি করা হয়েছে। ব্যয়ের খাত কমিয়ে অর্থের সংরক্ষণ এবং তারল্য বাড়াতে আমরা এমন কার্যকরী পদক্ষেপ নিয়েছি।

মহামারীর কারণে আইএজির উড়োজাহাজ এবং অন্যান্য সম্পত্তির ব্যয়সংক্রান্ত লোকসান মেটাতে গিয়ে গ্রুপটির নিচের সারির অনেক খাতও ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। পাশাপাশি জেট উড়োজাহাজের অতিরিক্ত জ্বালানি ব্যয় বৈদেশিক মুদ্রাবিনিময় নীতি গ্রুপটির জন্য আরো তিক্ততা বয়ে এনেছে।

গ্যালিও বলেন, টিকাদান কর্মসূচি শুরু হওয়ায় ইংল্যান্ডে লকডাউন শিথিল করার পরিকল্পনা নেয়ার পর থেকে সংস্থাটির আয় তাদের চাহিদার তুলনায় বেড়েছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল করার পরিকল্পনাও পুনরায় ফ্লাইট চলাচল শুরুর আশা জাগিয়েছে। তিনি বলেন, আমরা জানি, মানুষের মাঝে ভ্রমণের চাপা ইচ্ছা আছে। মানুষ বিমানযোগে ভ্রমণ করতে চায়। যুক্তরাজ্যের টিকাদান কার্যক্রম বেশ ভালোভাবেই এগোচ্ছে। নিরাপদে আবারো ভ্রমণ চালু করতে আমরা আন্তর্জাতিক সাধারণ গুণগত মান পরীক্ষা এবং ডিজিটাল হেলথ পাস চালু করার আহ্বান জানাচ্ছি।

তবে আইএজি নতুন অর্থবছরে আয়ের পূর্বাভাস জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তবে ছয় থেকে নয় মাসের মধ্যে উল্লেখযোগ্য উড়োজাহাজ চালু হবে বলে তারা আশাবাদী।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন