এলডিসি থেকে উত্তরণ নিয়ে আজ প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের জন্য জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করায় আজ সংবাদ সম্মেলনে আসবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বিকাল ৪টায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সংবাদ সম্মেলনে যুক্ত হবেন তিনি। গতকাল শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহ্সানুল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য জানানো হয়।

জানা গেছে, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের জন্য জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করা উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শুক্রবার দিবাগত রাতে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসির (ইউএন-সিডিপি) সভায় পর্যালোচনা শেষে বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উত্তরণের সুপারিশ করা হয়।

নিয়ম অনুযায়ী, তিন শর্ত পূরণ হলে এবং পরপর দুটি পর্যালোচনায় মানদণ্ড ধরে রাখতে পারলে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের সুপারিশ করে ইউএন-সিডিপি। তার মধ্যে ২০১৮ সাল থেকে তিনটি শর্তই পূরণ করতে পেরেছে বাংলাদেশ এবং মান ধরে রেখেছে।

তিনটি শর্ত হলো মাথাপিছু আয় হতে হয় কমপক্ষে হাজার ২৩০ মার্কিন ডলার, মানবসম্পদ সূচকে ৬৬ পয়েন্ট অর্থনীতির ভঙ্গুরতা সূচকে ৩২ বা নিচে আসতে হয়। বাংলাদেশ এসব শর্ত ২০১৮ সাল থেকেই পূরণ করে আসছে।

সুপারিশ পাওয়ার পর নিয়ম অনুযায়ী আনুষ্ঠানিক ঘোষণার জন্য তিন থেকে পাঁচ বছর প্রস্তুতির সময় পাওয়া যায়। বাংলাদেশ এরই মধ্যে পাঁচ বছরের প্রস্তুতির সময় চেয়ে আবেদন করেছে।

এদিকে জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনায় বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন

সিদ্ধান্ত গ্রহণে সঠিক, নির্ভরযোগ্য সময়োপযোগী পরিসংখ্যান ভিত্তি হিসেবে কাজ করে এবং আমাদের পরিবর্তিত বিশ্বকে বুঝতে সাহায্য করে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পরিবীক্ষণে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ হিসেবে উপাত্তপ্রাপ্যতার বিষয়টি চিহ্নিত করেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, পরিসংখ্যান উন্নয়ন অগ্রগতির পরিমাপক। অর্থনীতিসহ সমাজের অন্যান্য সব কর্মকাণ্ডের গতিপ্রকৃতি নির্ণয় উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়নে পরিসংখ্যানের গুরুত্ব অপরিসীম। পরিসংখ্যান যত নির্ভুল হবে, নীতিনির্ধারকদের জন্য পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ তত সহজতর হবে।

তিনি বলেন, আমাদের সরকার সব ক্ষেত্রে তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত পরিকল্পনা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয়, সময়োপযোগী মানসম্পন্ন পরিসংখ্যান সংগ্রহ প্রকাশ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তথ্য-উপাত্ত প্রক্রিয়া পরিজ্ঞাতকরণে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, বিশ্বায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে চাহিদামাফিক উপাত্ত সরবরাহ এবং পরিসংখ্যান বিষয়ক কার্যক্রম সময়োপযোগী ত্বরান্বিত করতে আমরা সর্বদা সচেষ্ট।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর লগ্নে বৈশ্বিক করোনা মহামারী পরিস্থিতিতেও সময়োপযোগী সঠিক পরিসংখ্যানের সাহায্যে যথাযথ পরিকল্পনা গ্রহণ করে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন