মুশতাক আহমেদের মৃত্যু

ওইসিডিভুক্ত ১৩টি দেশের ঢাকাস্থ রাষ্ট্রদূতদের উদ্বেগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

আইনি হেফাজতে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুতে অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টভুক্ত (ওইসিডি) ১৩টি দেশের ঢাকাস্থ রাষ্ট্রদূত হাইকমিশনাররা গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন।

গণমাধ্যমকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মুশতাক আহমেদ ২০২০ সালের মে থেকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের (ডিএসএ) ধারায় বিচারপূর্ব আটক অবস্থায় ছিলেন। আমরা জেনেছি যে বেশ কয়েকবার তাকে জামিন দিতে অস্বীকৃতি জানানো হয়েছে এবং আটকাধীন অবস্থায় তার প্রতি যে আচরণ করা হয়েছে, তা নিয়ে উদ্বেগ আছে। আমরা তার পরিবার বন্ধুদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।

আমরা বাংলাদেশ সরকারকে মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর একটি দ্রুত, স্বচ্ছ, স্বাধীন এবং পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করতে আহ্বান জানাচ্ছি।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ধারাগুলো এর প্রয়োগে আমাদের সরকারগুলোর যে ব্যাপক উদ্বেগ রয়েছে এবং একই সঙ্গে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন মানের প্রতি বাধ্যবাধকতার সঙ্গে আইনের সামঞ্জস্য-সংক্রান্ত প্রশ্নগুলোর ব্যাপারে আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে অব্যাহতভাবে আলোচনা চালিয়ে যাব।

স্বাক্ষরকারীরা রাষ্ট্রদূতরা হলেন কানাডার বোনোয়ে প্রিফন্টেইন, ডেনমার্কের উইনি ইস্টারপ পিটারসেন, ইইউর রেনজি তিরিঙ্ক, ফ্রান্সের জ্যাঁ মেরিন সুহ, জার্মানির পিটার ফারেনহোল্টজ, ইতালির এনরিকো নানজিয়াতা, নেদারল্যান্ডসের হ্যারি ভারওয়েইজ, নরওয়ের এসপেন রিকটার ভেন্ডসেন, স্পেনের ফ্রান্সিসকো ডি অ্যাসিস বেনিটেজ সালাস, সুইডেনের অ্যালেজান্ড্রা বের্গ ফন লিনডে, সুইজারল্যান্ডের নাথালি শিউয়াখ, যুক্তরাজ্যের রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন যুক্তরাষ্ট্রের আর্ল আর মিলার।

এছাড়া আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচও এক বিবৃতিতে মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর স্বচ্ছ স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন